পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নিশ্চয়ই রোদ্দুরের মধ্যে অন্য ছেলেদের সঙ্গে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। তিনি একতলা থেকে কানাইকে ডেকে পাঠালেন। কানাই নেমে আসতেই মামা তাঁর পিঠে এক চড় বসিয়ে দিলেন। কানাই স্তম্ভিত হয়ে গিয়ে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। এর ফলে মামা আরও রেগে গিয়ে আরও দু-চার ঘা চড় বসিয়ে দিলেন কানাইয়ের পিঠে। কানাই কোনরকম প্রতিবাদ করলেন না কোন কথা বললেন না। কিন্তু তাঁর মনে মনে এই অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে অভিমান ঘনিয়ে উঠছিল। কানাইলাল ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলেন। সে কান্না কিছুতেই থামে না। কারও কথায় সে কান্না থামল না। অনেকক্ষণ সাধাসাধির পর কানাই বললেন যে তিনি রোদ্দুরে যান নি, এবং তাঁর কথা কেন যে বিশ্বাস করা হচ্ছে না, সেই জন্যেই তাঁর দুঃখের শেষ নেই। তিনি আরও বললেন, তাঁর কথায় বিশ্বাস না করলে তিনি জলগ্রহণ করবেন না। বালক কানাইলালের মধ্যে সত্যাগ্রহীর জ্বলন্ত রূপ ফুটে উঠল। অগত্যা কানাইয়ের মামা ছাদের অন্যান্য ছেলেদের ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করে জানলেন যে কানাই যা বলছেন তা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। মামা ব্যথিত হয়ে কানাইয়ের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করলেন। কানাই পরম আনন্দে খেতে বসলেন। এই সামান্য ঘটনা তাঁর আত্মীয় স্বজনের কাছে তাঁর সত্যনিষ্ঠার স্বাক্ষর হয়ে রইল। ভবিষ্যতে এ কথাটা সকলেই জেনে নিয়েছিল যে কানাইলাল কখনও মিথ্যা কথা বলে কাউকে ঠকাবেন না। এই তুচ্ছ

১৭