পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রথম বৈপ্লবিক হত্যা ও ডাকাতি প্রচেষ্টা

 বঙ্গভঙ্গের পর পূর্ববঙ্গের লাট নিযুক্ত হলেন ফুলার সাহেব। তাঁর সময়ে স্বদেশী দলন অতিমাত্রায় চলেছিল। বরিশাল প্রাদেশিক সভা ভঙ্গ হয় তাঁরই নির্দেশে। তাঁর আমলে ছাত্রদের কোন রাষ্ট্রনৈতিক আন্দোলনে যোগ দেওয়া নিষিদ্ধ ছিল। শুধু ‘বন্দে মাতরম্’ বলার অপরাধে অনেককে দণ্ডভোগ করতে হয়েছিল। বরিশালের সভাভঙ্গ বিষয়ে হেমচন্দ্র কানুনগো লিখেছেন—‘সেই সময় (১৯০৬ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল) পুণ্যেবিশাল-বরিশালের প্রাদেশিক সম্মিলনীতে যে স্মরণীয় দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তাতে বাংলার রাষ্ট্রনৈতিক আন্দোলনের আদিগুরু সুরেন্দ্রনাথের গ্রেপ্তার, বিপিনচন্দ্র, ভূপেন্দ্রনাথ, উপাধ্যায়, কাব্যবিশারদ ও অন্য অনেক নেতা এবং ডেলিগেটদের নাকি সিপাহীর রেগুলেশন্ ডাণ্ডার—কাউকে কাউকে স্বাদ আর কাউকে বা স্বাদের বিভীষিকা—উপভোগ করতে হয়েছিল। শুধু তাই নয়, পৈতৃক প্রাণটা বাঁচাবার জন্য খানায় পড়তে, প্রাচীর ডিঙ্গোতে আর পগার পার হতেও হয়েছিল। অধিকন্তু বহুকালের জন্য সেখানে পিটুনী-পুলিসও বসান হয়েছিল। এর ফলে এই ঘটনার ঠিক পরেই কিন্তু বিপ্লববাদের মন্ত্রগুলো

৩৮