পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ঘোরতর বিপক্ষে। তিনি স্পষ্টই বারীন্দ্রের এই নীতির নিন্দা করেছেন। তিনি অনেক চেষ্টা করেও বারীন্দ্রকে নিরস্ত করতে পারেন নি। হেমচন্দ্র অরবিন্দের নাম নিয়েও বলেছেন, বারীন্দ্রকে নিরস্ত হতে, কিন্তু বারীন্দ্র স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, অরবিন্দ এসব কি বোঝে? কিন্তু এত বড় বিপ্লবী হয়ে বারীন্দ্র কেন যে আত্মসমর্পণ করলেন তার পশ্চাতে এই সকল যুক্তি আছে। বারীন্দ্র নিজে লিখেছেন—(১) ‘আমাদের দফা এইখানেই রফা হইল, এখন আমরা যে কি করিতেছিলাম তাহা দেশের লোককে বলিয়া যাওয়া দরকার।’

 (২) অন্যত্র বারীন্দ্র লিখেছেন, ‘এই প্রকারে আত্মকীর্তি রাখিতে গিয়া অপরাধ স্বীকার করিয়াছি। ইহার মধ্যে একটা প্রচ্ছন্ন বাহাদুরীর বেশ গাঢ় প্রলেপ আছে।’

 (৩) ‘আমাদিগকে প্রকাশ্য রাজদ্বারে ঘাতকহস্তে স্বেচ্ছায় যাচিয়া জীবন দিতে না দেখিলে, বুঝি এ মরণ-ভীরু জাতি মরিতে শিখিবে না।”

 দেখা যাচ্ছে দেশের সামনে উচ্চ আদর্শ প্রতিষ্ঠা করবার জন্য বারীন্দ্র সকল কথা স্বীকার করলেন। বারীন্দ্রের মতে তাঁর কাজ শেষ হয়ে গেছে—mission is over. বারীন্দ্র ঠিক কাজ করেছিলেন কি না সে বিষয়ে যথেষ্ট মতভেদ আছে। তবে এটা ঠিক যে বারীন্দ্র গুপ্ত সমিতির রীতিবিরুদ্ধ কাজ করেছেন। মারাত্মক কুফল ফলে নরেন গোসাইঁর নাম করার ফলে। প্রথমে পুলিস নরেন গোসাইঁকে জানত না।

৭২