পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
১১১

প্রয়োজনমত বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা প্রবর্ত্তনের অধিকার আমরা কোনক্রমেই ত্যাগ করিতে পারি না।

 বৈদেশিক বাণিজ্যনীতি—আর্থিক স্বাধীনতা ও বাণিজ্যবিষয়ক সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিষয় আলোচনা প্রসঙ্গে ভারতের পক্ষে অত্যাবশ্যকীয় একটি কার্য্যকরী বৈদেশিক বাণিজ্যনীতির কথা বলিব। ভারতের রপ্তানী-বাণিজ্য ও ইহার বৈদেশিক বাধ্যবাধকতার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া ব্যাপকভাবে ঐরূপ নীতির বিবেচনা করিতে হইবে। অন্যান্য রাষ্ট্রের সহিত ভারতের বাণিজ্য-চুক্তি সাধন দুর্ঘট হয় অথবা সম্রোজ্যের বাহিরের যে সমস্ত দেশ ভারতীয় পণ্যের ক্রেতা তাহাদের সহিত ব্যবসাক্ষুণ্ণকর কোনপ্রকার চুক্তি ইংলণ্ডের সহিত করা সঙ্গত হইবে না। ভারতের বহির্বাণিজ্যের পক্ষে ইহা একান্ত আবশ্যক। দুঃখের বিষয়, এখনও ইঙ্গভারতীয় বাণিজ্য-আলোচনা চলিতেছে; পক্ষান্তরে অটোয়া চুক্তির নোটিশের কাল উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে এবং ভারতীয় আইনসভা কর্ত্তৃক নাকচের সিদ্ধান্তসত্ত্বেও উহাকে এখনও বহাল রাখা হইয়াছে। বর্ত্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় ইংলণ্ড ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য-চুক্তি হইলে, ইংলণ্ডের অনুকূলে তুলাদণ্ড ঝুঁকিয়া পড়িবেই। বাণিজ্য-চুক্তির আশ্রয়ে এই দেশে অ-ভারতীয় কায়েমী স্বার্থ প্রতিষ্ঠিত হইতে দিবার পূর্ব্বে উঠার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও আর্থিক ফলাফল সম্বন্ধেও আমাদিগকে সতর্কতার সহিত বিবেচনা করিতে হইবে। আমি আশাকরি, বর্ত্তমানে যে ইঙ্গ-ভারতীয় বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা চলিতেছে, তাহাতে অন্যান্য রাষ্ট্রের সহিত সরাসরি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে বাধা উপস্থিত হইবে না এবং ভারতীয় ব্যবস্থা পরিষদ কর্ত্তৃক অনুমোদিত হওয়া পর্য্যন্ত গভর্ণমেণ্ট ঐরূপ কোন চুক্তি স্বাক্ষর করিবে না।

 প্রাদেশিক মন্ত্রিমণ্ডল ও প্রস্তাবিত যুক্তরাষ্ট্রীয় মন্ত্রিমণ্ডলের ক্ষমতার তুলনা করা যায় না। তাহা ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিষদের গঠন অত্যন্ত