পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
১১৩

আসিয়াছে। সুশিক্ষিত অধিনায়কবৃন্দ পরিচালিত একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী আজ আমাদের বিশেষ প্রয়োজন। রাজনৈতিক কর্ম্মীদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা হইলে ভবিষ্যতে আমরা যোগ্য রাজনৈতিক নেতা লাভ করিতে পারিব। বিলাতে নিদাঘ-বিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে এইরূপ শিক্ষার ব্যবস্থা আছে—এইরূপ শিক্ষাদান একনায়কত্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। ইউরোপের কোন কোন দেশ কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করিতেছেন, তাহা অবশ্যই লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন। আমাদের আদর্শ ও শিক্ষার প্রণালী তাঁহাদের সহিত সামঞ্জস্যহীন হইলেও, ইহা সর্ব্বজনস্বীকৃত যে আমাদের কর্ম্মীদের জন্য বৈজ্ঞানিক ধারায় সর্ব্বাঙ্গীন শিক্ষাদানের ব্যবস্থা প্রয়োজন। নাৎসীদের শ্রমিক সেবাহিনীর (Labour Service Corps) ন্যায় প্রতিষ্ঠান বিশেষ বিবেচনাযোগ্য এবং উপযুক্তভাবে সংশোধন করিয়া প্রবর্ত্তন করিলে উহা ভারতের পক্ষে কল্যাণকর হইতে পারে।

 কিষাণ সভাসমূহ—সঙ্ঘানুবর্ত্তিতার আলোচনা প্রসঙ্গে আর একটি সমস্যা সম্পর্কেও আমাদিগকে বিবেচনা করিতে হইবে। ভারতীয় জাতীয় মহাসভার সহিত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস ও কিষাণ সভাসমূহের সম্পর্কের কথাই আমি বলিতেছি; উহা আমাদের উদ্বেগের কারণ হইয়াছে। কেহ কেহ কংগ্রেসের বহির্ভূত যে-কোন প্রতিষ্ঠানের নিন্দা করেন এবং কেহ কেহ উহাদের আবশ্যকতা স্বীকার করেন। আমার মতে, উহাদের অস্তিত্ব আমরা পছন্দ করি বা না করি, উহাদের সহিত আমাদিগকে সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়া চলিতে হইবে। প্রশ্ন হইতেছে, উহাদের প্রতি কংগ্রেসের কিরূপ ব্যবস্থা অবলম্বন করা উচিত। রাজনৈতিক অধিকার লাভের সংগ্রামে কংগ্রেস জনগণের প্রতিনিধি। কংগ্রেসের বিরোধীদলরূপে এই সকল প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব স্বীকার করা যাইতে পারে না। সুতরাং, এই সকল প্রতিষ্ঠানকে কংগ্রেসের আদর্শে ও কার্য্যপন্থায় উদ্বুদ্ধ হইয়া