পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

অধিকার নাই। অতএব আমি সর্বতোভাবে আমার বিষয়ে বিবেচনা করিবার ভার প্রতিনিধিবর্গের হস্তে অর্পণ করিলাম। তাঁহাদিগের সিদ্ধান্তই আমি মানিয়া লইব।”

 সুভাষচন্দ্রের এই বিবৃতির প্রতিবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির কতিপয় সদস্য এক বিবৃতি প্রচার করিয়া বলেন, “* * মৌলানা সাহেব এই নির্বাচন প্রতিযোগিতা হইতে সরিয়া দাঁড়াইতে বাধ্য হইয়াছেন দেখিয়া আমরা অতিশয় দুঃখিত হইয়াছি। কিন্তু তিনি যখন প্রতিবোগিতা না করিবার সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবেই গ্রহণ করিয়াছেন, তখন তিনি আমাদের মধ্যে কয়েকজনের সহিত পরামর্শ করিয়াই ডাঃ পট্টভির নির্বাচন সমর্থন করিয়াছেন। যথেষ্ট বিবেচনা করিয়াই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছে। আমরা মনে করি যে, খুব গুরুতর কোন কারণ না ঘটিলে বিদায়ী সভাপতিকে পুনরায় নির্ব্বাচন না করার নীতিই অক্ষুণ্ণ রাখা উচিত। * * * আমরা বিশ্বাস করি যে ডাঃ পট্টভি কংগ্রেসের সভাপতি হইবার সম্পূর্ণ যোগ্য ব্যক্তি। তিনি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির প্রধানতম সদস্যগণের অন্যতম। তিনি দীর্ঘদিন ধরিয়া অবিচ্ছিন্নভাবে দেশসেবা করিয়া আসিতেছেন। আমরা তাই কংগ্রেস প্রতিনিধিগণের নিকট তাঁহার নির্বাচনের জন্য সুপারিশ জানাইতেছি। সুভাষবাবুর সহকর্মীরূপে আমরা তাঁহাকে তাঁহার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে পুনর্বিবেচনা করিতে এবং ডাঃ সীতারামিয়ার নির্ব্বাচন সর্ব্ববাদিসম্মত হইতে দিতে অনুরোধ করিতেছি।”

 সর্দার প্যাটেল ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসাবেই এই বিবৃতি প্রকাশ করিয়াছেন। বলা হইয়াছে যে, বহু আলোচনার ডাঃ পট্টভির নির্ব্বাচন সমর্থন করিবার সিদ্ধান্ত ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের এক ঘরোয়া বৈঠকে গৃহীত হইয়াছে।