পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫২
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

পরিলক্ষিত হইবে; ইহার ফলে আমরা ভবিষ্যতে সম্মিলিতভাবে কার্য্য করিতে সক্ষম হইব।”

 পণ্ডিত জওহরলাল পদত্যাগ করিয়াছেন কিনা তাহা স্পষ্টভাবে জানাইতে বলিয়া সুভাষচন্দ্র পণ্ডিতজীর নিকট এক পৃথক পত্র লিখেন। এখানে উল্লেখযোগ্য যে পণ্ডিত জওহরলাল লক্ষৌয়ে জনৈক বন্ধুর প্রশ্নের উত্তরে বলেন— তিনি তাঁহার পত্রে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যপদ ত্যাগ করেন নাই; প্রকৃতপক্ষে, ওয়ার্কিং কমিটির বারজন সদস্যের পদত্যাগের ফলে উহা স্বতঃই ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, সুতরাং এক্ষেত্রে তাঁহার পদত্যাগের কোন প্রশ্নই ওঠে না।

 ত্রিপুরী অধিবেশনের আর কয়েকদিন মাত্র বাকী। রাষ্ট্রপতি রোগশয্যায়—তাঁহার অবস্থা উদ্বেগজনক। এদিকে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের পদত্যাগের ফলে সমস্ত কাজের দায়িত্ব তাঁহার উপর পড়িয়াছে। আচার্য্য কৃপালনীও পদত্যাগ করিয়াছেন—কাজেই সম্পাদকীয় দপ্তর ও তাঁহাকেই দেখিতে হইতেছে। পার্লামেণ্টারী সাব-কমিটি ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। ইহার ফলে উক্ত সাব কমিটির সর্বপ্রকার ক্ষমতা কংগ্রেস সভাপতি ও অবশিষ্ট একমাত্র সদস্য শ্রীযুক্ত শরৎচন্দ্র বসুর হস্তে ন্যস্ত হইয়াছে।

 সভাপতি নির্ব্বাচনের সূচনা হইতে দক্ষিণপন্থীদের পক্ষ হইতে সুভাষচন্দ্রের উপর যে সকল অভিযোগ আরোপ করার চেষ্টা হইয়াছে ঐ সকল অভিযোগের উত্তরে ৩রা মার্চ্চ সংবাদ পত্রে সুভাষচন্দ্র এক দীর্ঘ বিবৃতি প্রচার করেন। কংগ্রেসের কয়েকজন প্রধান নেতা যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আপোষের ভাব পোষণ করেন, সুভাষচন্দ্র এ কথা প্রচার করিয়া অন্যায় করিয়াছেন—সুভাষচন্দ্রের বিরুদ্ধে দক্ষিণপন্থীদের ইহাই প্রধান অভিযোগ। এই অভিযোগের উত্তরে সুভাষচন্দ্র বলেন, “কংগ্রেসের প্রস্তাবে যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনমনীয় বিরোধিতা রহিয়াছে, তথাপি