পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
১৫৯

চাঞ্চল্যকর ব্যাপার ঘটিয়াছে যাহার চরম পরিণতি স্বরূপ সর্দার প্যাটেল, মৌলানা আজাদ ও ডাঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদ প্রমুখ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যবৃন্দ পদত্যাগ করিয়াছেন। ওয়ার্কিং কমিটির অন্যতম বিখ্যাত ও বিশিষ্ট সদস্য পণ্ডিত নেহেরু আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করিয়া না থাকিলেও এমন একটি বিবৃতি প্রকাশ করিয়াছেন যাহাতে সকলের মনেই এই বিশ্বাস জন্মিয়াছে যে তিনিও পদত্যাগ করিয়াছেন।

 ত্রিপুরি কংগ্রেসের প্রাক্কালে রাজকোটের ঘটনায় মহাত্মা গান্ধী মৃত্যুপণে অনশন গ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়াছেন। রাষ্ট্রপতিও রুগ্ন অবস্থায় ত্রিপুরিতে আগমন করিয়াছেন। কাজেই, অন্যান্য বৎসরের অভিভাষণের আকার অপেক্ষা এই বৎসর রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের আকার ক্ষুদ্র হইলে, বর্ত্তমান পরিস্থিতির উপযোগীই হইবে।

 ওয়াফ্‌দিষ্ট প্রতিনিধিমণ্ডলী—বন্ধুগণ, আপনারা জানেন যে, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অতিথিরূপে মিশর হইতে ওয়াফ্‌দিষ্ট প্রতিনিধিগণ এখানে উপস্থিত হইয়াছেন। তাঁহাদের সকলকেই আমরা সাদর সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করিতেছি।

 ইয়োরোপীয় সঙ্কট—১৯৩৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হরিপুরায় কংগ্রেস অধিবেশনের পরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কয়েকটি বিশেষ তাৎপর্য্যপূর্ণ ঘটনা ঘটিয়া গিয়াছে। এই ঘটনাগুলির মধ্যে ১৯৩৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ম্যুনিক চুক্তি (Munich Pact) সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। পাশ্চাত্য শক্তিসমূহ—ফ্রান্স ও গ্রেট ব্রিটেন কীরূপ হীনভাবে নাজি জার্মানীর নিকট আত্মসমর্পন করিয়াছে, তাহা এই Munich চুক্তি হইতে বুঝা যায়। এই চুক্তির ফলে ইয়োরোপের নেতৃত্ব জার্মানীর হাতে চলিয়া গিয়াছে। সম্প্রতি স্পেনে সাধারণতন্ত্রী গভর্ণমেণ্টের পতনে ফ্যাসিস্ত ইটালি ও নাজি জার্মানীর শক্তি বৃদ্ধি হইয়াছে।

 বর্ত্তমানে ইয়োরোপীয় রাজনীতি হইতে সোভিয়েট রাশিয়াকে