নিম্নোক্ত বিবৃতির দ্বারা সুভাষচন্দ্র নিজেই বিরুদ্ধ পক্ষের যুক্তিগুলি খণ্ডন করিয়া ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ গঠনের সার্থকতা প্রতিপন্ন করিয়াছেন—
‘কংগ্রেসের official (সরকারী) bloc এর সাংগঠনিক ভিত্তি ‘গান্ধী-সেবা-সংঘ’। এক্ষণে, বামপন্থীদের ভিত্তি কি? এখনও কোন ভিত্তি নাই বটে, তবে আশা করা যাইতেছে, ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ পূর্ণ সমৃদ্ধি লাভ করিয়া সমস্ত সরকারী কংগ্রেস বহির্ভূত (non-official) রেডিক্যাল ও সমাজতন্ত্রী উপাদান সমূহের সাংগঠনিক বনিয়াদের কাজ করিবে। কেবল তখনই কংগ্রেসের বামপক্ষ স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তা প্রাপ্ত হইবে।
আমাদের সমালোচকেরা যুক্তি দেখাইতে পারেন—‘ফরওয়ার্ড ব্লক’-এর গঠন কংগ্রেসের মধ্যে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করিয়া জাতীয় ঐক্য নষ্ট করিবে। জিজ্ঞাসা করি, ‘গান্ধী-সেবা-সংঘ’ গঠনে যদি বিচ্ছেদ সৃষ্টি না হইয়া থাকে তবে ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ গঠনেই বা তা হইবে কেন? বামপক্ষের এই সংহতিই আমার মতে প্রকৃত জাতীয় ঐক্যসৃষ্টির সোপান হইবে; এবং, এই ঐক্য কার্য্যক্ষেত্র ও বাস্তবক্ষেত্রের সক্রিয় ঐক্য—নিষ্ক্রিয় ঐক্য নহে। বামপক্ষের সংহতি ভিন্ন প্রকৃত জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আমি ত আর কোন পথ দেখি না।
‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ কংগ্রেসের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে কাজ করিবে। ইহা কংগ্রেসের বর্ত্তমান গঠনতন্ত্র, মতবাদ, নীতি ও কর্মপন্থা গ্রহণ করিবে। এই প্রতিষ্ঠান মহাত্মা গান্ধীর ব্যক্তিত্বের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করিবে এবং জাতির নিকট মহাত্মার দান তাঁহার রাজনৈতিক মতবাদ অহিংস অসহযোগ নীতিতে পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করিবে। কিন্তু, ইহার দ্বারা এই বুঝাইতেছে না যে, ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’-এর বর্ত্তমান কংগ্রেস হাই কম্যাণ্ডের প্রতিও আস্থা থাকিবে। প্রশ্ন উঠিতে পারে যে, বর্ত্তমান সঙ্কটকালে ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ সৃষ্টি করিয়া কেন আমরা কংগ্রেসের