পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০০
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

কাজ করিতে যাইতেছেন ও সভানেত্রীর এই ঘোষণার পরে সভাপতি নির্ব্বাচিত হইয়াছে সেই কারণে বর্ত্তমান ওয়ার্কিং কমিটির শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অবলম্বনের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে কিনা বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি সে বিষয়ে গভীর সন্দেহ পোষণ করে।” পরিশেষে বঙ্গীয় কংগ্রেস কমিটি ওয়ার্কিং কমিটিকে তাহার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে পুনর্ব্বিবেচনা করিতে অনুরোধ করিয়া জানাইয়া দেয় যে, ওয়ার্কিং কমিটির নিকট হইতে উত্তর না আসা পর্য্যন্ত বঙ্গীয় কংগ্রেস কমিটির সভাপতির পদ অপূর্ণ থাকিবে ও শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসুর নির্দ্দেশক্রমেই কমিটির কাজ চলিতে থাকিবে।

 সুভাষচন্দ্রের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অবলম্বিত হওয়ায় সমস্ত দেশে তুমুল বিক্ষোভ দেখা দিলেও মহাত্মাজী বিন্দুমাত্র বিচলিত হন নাই। এই প্রসঙ্গে তাঁহার যে মনোভাব প্রকাশ পাইয়াছে তাহা এই—“In my opinion the action taken by the Working Committee was the mildest possible.” পরে অবশ্য প্রকাশ পায়, গান্ধীজীর নির্দ্দেশক্রমেই সুভাচন্দ্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অবলম্বিত হইয়াছে। গান্ধীজীর উক্তি—“I must confess that the Subas Babu resolution was drafted by me (সুভাষবাবু সম্পর্কিত প্রস্তাবের খসড়া যে আমিই প্রস্তুত করিয়াছি, ইহা আমি অবশ্যই স্বীকার করি)।”

 ওয়ার্কিং কমিটির প্রস্তাব সম্পর্কে সুভাষচন্দ্র নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রচার করেন:—

 “কার্য্যতঃ আমাকে তিন বৎসরের জন্য কংগ্রেস হইতে বহিষ্কৃত করিয়া ওয়ার্কিং কমিটি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছেন আমি সেই সিদ্ধান্ত সাদরে অভ্যর্থনা করিয়া লইতেছি। গত কয়েক বৎসর যাবৎ দক্ষিণ পক্ষকে সংহত করিবার যে প্রচেষ্টা চলিতেছে মন্ত্রিত্ব গ্রহণের ফলে যাহা