পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
২৩৫

বিশ্বের জনমত গঠন কল্পে আন্তর্জাতিক প্রচারকার্য্য চালাইবার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাও অবলম্বন করিতে হইবে—তবেই এই অহিংস সংগ্রাম সাফল্য লাভ করিবে। উপযুক্ত সময়েই যদি অহিংস গণ-আন্দোলন পরিচালিত হয়, তবে ইহার দ্বারাই স্বাধীনতার চরম লক্ষ্যে উপনীত হওয়া যায়। অহিংস সংগ্রামকে সুভাষচন্দ্র এই ভাবেই দেখিয়াছেন। কিন্তু, উপযুক্ত পরিমাণে চরখা কাটিয়া দেশ প্রস্তুত হইয়াছে বলিয়া যদি গান্ধীজির মনে হয়, তবেই তিনি অহিংস অন্দোলন শুরু করিবেন—ইহাই গান্ধীজির নীতি। ব্রিটেনের সহিত আলােচনায় ও ব্যবহারে গান্ধীজি আন্তরিকতাপূর্ণ বন্ধুত্ব, উদারতা, অকপটতা, বিশ্বাস, আশা ও প্রেম প্রদর্শন করিয়া অহিংস সংগ্রামনীতির আদর্শ দৃষ্টান্ত স্থাপন করিতে চাহেন। পরাধীন ভারতের মুক্তিসাধনায় গান্ধীজি রাষ্ট্রনায়কের ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছেন—কিন্তু নৈতিক ও নীতিধর্ম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বিশ্বকল্যাণ ব্রত গ্রহণ করিয়া তিনি বিশ্বপ্রচারক প্রফেট হইয়াছেন। গান্ধীজির জীবনের এই দ্বৈত উদ্দেশ্যই ভারতের রাজনৈতিক মুক্তিসাধনায় তাঁহার নেতৃত্বের মধ্যে বিশেষ দুর্বলতা ও ত্রুটির সৃষ্টি করিয়াছে। তাই সুভাষচন্দ্র মহাত্মাজী সম্বন্ধে বলিয়াছেন:

 “Whenever he talks to his people about Sworajya, he does not dilate on the virtues of Provincial Autonomy or Federation, he reminds them of the glories of Roma-Rajya (the Kingdom of Rama of old.) and they understand. And when he talks of conquering through love and Ahimsa (non-violence), they are reminded of Buddhas and Mohavira and they accept him······In many ways he is altogether an idealist and a visionary. The instinct or judgment, so necessary for political