পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
২৪১

করিয়াছেন: “My relations with Subhas Babu were always of the purest and best. I always knew his capacity for sacrifice. But a full knowledge of his resourcefulness, soldiership and organizing ability came to me only after his escape from India.”

 বহুবর্ষ পূর্বেই ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট সুভাষচন্দ্রের এই প্রতিভার পরিচয় পাইয়াছেন। আপোষহীন সংগ্রাম পরিচালনের জন্য সুগঠিত কর্মী ও সৈনিক বাহিনীর যে অপরিহার্য্য প্রয়োজন আয়ারল্যাণ্ডের ডি ভ্যালেরার মতই সুভাষচন্দ্র তাহা মর্মে মর্মে বুঝিয়াছেন। নানা দিক্ দিয়া ডি ভ্যালেরার সহিত সুভাষচন্দ্রের আশ্চর্য্য সাদৃশ্য বর্ত্তমান। স্বাধীনতালাভের অনির্বাণ কামনা ও আবেগ, আপোষহীন সংগ্রামে অটুট ও অটল বিশ্বাস উভয় নেতার মধ্যেই সমুজ্জল। এই সংগঠন প্রতিভা ও প্রেরণা চালিত হইয়াই সুভাষচন্দ্র ইটালীর সমরবাদী যুব সংস্থাসমূহের, জার্মানীর “লেবার সার্ভিস কোরে”র ও নাৎসীপার্টির লৌহকঠিন দলীয় শৃঙ্খলার আলোচনায় আকৃষ্ট হইয়াছেন ও তাহাদের সত্যমূল্য নির্ণয় করিয়াছেন। ভারতে তিনি জাতীয় স্বেচ্ছাবাহক বাহিনী গঠনের প্রয়োজন অকুণ্ঠ ভাষায় প্রচার করিয়াছেন। কাজেই শৃঙ্খলাপরায়ণতা ও সংগঠনের সাফল্যের রহস্য নিরূপণের জন্য সুভাষচন্দ্র ফ্যাসিবাদ ও নাৎসীবাদে আকৃষ্ট হইয়া থাকিলে তাঁহাকে ফ্যাসিস্ত বলা অক্ষম বিচারবিহীন মনেরই পরিচায়ক। সুভাষচন্দ্রের জাতীয়তা আন্তর্জাতিকতার পরিপন্থী নহে। বিশ্বযুক্তরাষ্ট্র গঠন কল্পে এশিয়ার স্বাধীন জাতিসমূহের সমবায়ে “এশিয়াটিক ফেডারেশন” গঠনের মহৎ কামনা সুভাষচন্দ্র করিয়াছেন।

 সুভাষচন্দ্রের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের কার্য্যক্রম সোশ্যালিষ্টদের অনুরূপ। সমাজতন্ত্র ব্যতীত তিনি নব বিশ্ববিধান সৃষ্টির কল্পনা করিতে পারেন না। কিন্তু বাস্তববাদী সুভাষচন্দ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্য-