পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
২৪৯

solidarity among ourselves in good time, we may very well hope that the transference of power from the lands of the British Imperialism to those of the Indian people will take place in a peaceful manner. It is not necessary that the Indian Revolution should be a bloody one.” “All power to the masses—“জনগণের হস্তে সমস্ত ক্ষমতা চাই—এই মন্ত্রে সুভাষচন্দ্র দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করিতে লাগিলেন। জনগণকে সংগ্রামশীল করিবার জন্য, স্বাধীনতা লাভের দুর্বার আকাঙ্ক্ষা তাহাদিগের মধ্যে সংক্রামিত করিবার জন্য সুভাষচন্দ্র বাংলাদেশে “হল্‌ওয়েল মনুমেণ্ট” ধ্বংসের আন্দোলন সৃষ্টি করিলেন। ১৯৪০ এর ৩রা জুলাই তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তাহাতে আন্দোলন প্রশমিত না হইয়া উত্তরোত্তর তীব্র হইতে লাগিল। অবশেষে গভর্ণমেণ্ট হলওয়েল মনুমেণ্ট অপসারণ করিতে বাধ্য হইল। সুভাষচন্দ্রের আন্দোলন সাফল্য লাভ করিল।

 ১৯শে নভেম্বর তারিখে গভর্ণমেণ্টের অত্যাচারের প্রতিবাদ স্বরূপ বন্দী সুভাষ এক পত্রযোগে গভর্ণমেণ্টকে অনশন গ্রহণ করিবার সঙ্কল্প জানান। ফলে ৫ই ডিসেম্বর সুভাষচন্দ্রকে ছাড়িয়া দেওয়া হয়। ইহার কিছুদিন পরে ১৯৪১ সালে রহস্যজনক ভাবে সুভাষচন্দ্র ভারত ত্যাগ করেন।

 উপরিউক্ত আলোচনা হইতে আমরা সুভাষচন্দ্রের মতবাদ সম্বন্ধে মোটামুটি একটা ধারণা করিতে পারি। সুভাষচন্দ্র যথাস্থানে অহিংসা, চরকা ও কুটির শিল্পের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করিয়াছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের জন্য প্রধানতঃ তিনি সমাজতন্ত্রের ভিত্তিতে শিল্পায়ন বা যন্ত্রশিল্পের ক্রমপ্রসারের পক্ষপাতী। ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র কর্ত্তৃক National Planning Committee বা জাতীয় পরিকল্পনা কমিটি