পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
২৬১

 ডাঃ সোয়েকার্ণোর স্বাধীন ইন্দোনেশীয় গভর্ণমেণ্ট বা আউঙ্গ সানের স্বাধীন ব্রহ্মফৌজ যে জাপবিরোধী ছিল, এ বিষয়ে সকলেই নিঃসন্দেহ। বহু বিদেশী সাংবাদিক ও নেতা তাহা স্বীকার করিয়াছেন। ইন্দোনেশিয়ায় বা ব্রহ্মদেশে গঠিত জাতীয় গভর্ণমেণ্টকে যদি জাপ ক্রীড়নক বলিয়া সন্দেহ করিবার কারণ না থাকে, তবে Indian Independence League, Indian National Army বা আজাদ হিন্দ্ গভর্ণমেণ্ট ও ফৌজকেও জাপ তাঁবেদার মনে করিবার কোন হেতু নাই। আজাদ হিন্দ্ ফৌজ তাহার স্বাধীন সত্তা ও মর্য্যাদা সম্পূর্ণরূপে বজায় রাখিতে পারিয়াছিল।

 আজাদ হিন্দ্ আন্দোলনের নেতৃবর্গ পূর্ব হইতেই আশঙ্কা করিয়াছিলেন যে, জাপানীরা প্রতি পদক্ষেপে এই আন্দোলনের স্বাধীন অগ্রগতির প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করিবে এবং ইহাকে তাহাদের তাঁবেদার আন্দোলনে পরিণত করিতে চেষ্টা করিবে। এইজন্য প্রথম হইতেই আজাদ হিন্দ আন্দোলনের নায়কগণ এই বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকেন ও আন্দোলনকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও জাপানী সংস্রবশূন্য করিয়া তুলিতে তৎপর হন। আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈন্য সংগ্রহকালে শাহ নাওয়াজ ও ধীলন প্রমুখ নেতৃবর্গ কেবল ব্রিটিশের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণের কথাই বলিতেন না, প্রয়োজন হইলে, জাপানীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণের কথাও বলিতেন। শাহ্‌নাওয়াজ এক বক্তৃতায় বলেন—“I. N. A. has been formed for the liberation of India and it would fight not only British Imperialism but also that who will put obstacles in the way of India's freedom or any other party which wishes to subjugate us.”

 আজাদ হিন্দ্ আন্দোলন শুরু হইবার পর হইতেই জাপানীদের সহিত এই আন্দোলনের নায়কদের বিরোধ চলিতে থাকে। প্রতিদিনই জাপানীদের সহিত বিবাদ ও বিরোধ বাঁধিত। Rebel