পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮৬
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

 সার্থক নেতৃত্বের সবগুলি উপাদানই সুভাষ চরিত্রে পূর্ণমাত্রায় ছিল। সুভাষচন্দ্রের বাগ্মিতা সর্বদা শ্রোতৃবৃন্দের অন্তস্তল স্পর্শ করিত। তাঁহার অটল বিশ্বাস ও দৃঢ়তার সহিত ব্যক্ত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করিতে কেহই সাহসী হইত না। তাঁহার ব্যক্তিত্বের চৌম্বকশক্তি প্রভাবে প্রবলতম শত্রু ও তাঁহার প্রতি আকৃষ্ট হইত। মানব চরিত্রে তাঁহার গভীর অন্তর্দৃষ্টি বিরুদ্ধবাদীর দুর্বলস্থানটি দেখিতে পাইত। তাঁহার দৃঢ়তাব্যঞ্জক ভাব-ভঙ্গিমা, অবিচলিত আত্মপ্রত্যয়, প্রগাঢ় রাজনীতিজ্ঞান, সূক্ষ্ম বিচার ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা, অকাট্য যুক্তি বিপক্ষীয়দের স্বপক্ষে আনিতে সমর্থ হইত। নেতাজীর বজ্রাদপি কঠোর ব্যক্তিত্বের সম্মুখে কুটচক্রী জাপানী রাষ্ট্রনায়কদের কুটিল চক্রান্ত শোচনীয় ব্যর্থতায় পর্য্যবসিত হইয়াছে। অনমনীয় দৃঢ়তার সহিত তিনি ভারতবাসীর স্বাজাত্য গৌরব ও আত্মসম্মানবোধকে জাপ সাম্রাজ্যবাদীদের প্রচণ্ডতম প্রতিরোধ ও প্রতিকূলতার মধ্যেও অপরিম্লান অটুট রাখিয়াছেন। নেতাজীর ব্যক্তিত্বের সামান্য পরিচয় তাঁহার অন্তরঙ্গ শিষ্য ও সহকর্মী শা’নওয়াজের ভাষায় উদ্ধৃত করিতেছি—“It was Netaji who held aloft the prestige of India and the Indian masses. He raised the prestige of India to its highest pinnacle. He himself was worshipped in Japan and Germany as an incarnation of God. The people of Japan used to wonder and ask us how it was possible that a country which could produce a man like Netaji Subhas chandra Bose did remain in bondage so long.”

 ১৯৪৪ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর তারিখের ‘বিদ্রোহিণী তনয়ার ডায়েরী’তে লিখিত হইয়াছে:

 “অদ্য হেড্‌কোয়ার্টার্সে সুভাষবাবুর সংগে আমার দেখা হইল। তিনি