পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

 এই বৎসরই স্যার জন সাইমনের নেতৃত্বে বিলাতের “সাইমন কমিশন” ভারত পরিদর্শনে আসেন। এই “সাইমন কমিশন” বিলাতের কয়েকজন ইংরেজ সদস্য লইয়া গঠিত হয়। একজন ভারতীয়কেও এই কমিশনে গ্রহণ করা হয় নাই। ইহাতে ভারতের সর্ব্বত্র তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হইল। ১৯২৭ সালের মাদ্রাজ কংগ্রেসেই “সাইমন কমিশন” নিয়োগে গভর্ণমেণ্টের কার্য্যের তীব্র নিন্দা করিয়া গৃহীত এক প্রস্তাবে ঘোষণা করা হয়— “This congress resolve that the only self-respecting course for India to adopt is to boycott the Commission at every stage and in every form.” ৩রা ফেব্রুয়ারী “সাইমন কমিশন” বোম্বায়ে পদার্পণ করেন। ঐ দিন সমগ্র ভারতে “সাইমন ফিরিয়া যাও” বলিয়া তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় ও সর্ব্বত্র হরতাল প্রতিপালিত হয়। মাদ্রাজ, কলিকাতা, লাহোর, লক্ষ্মৌ প্রভৃতি স্থানে বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠি চার্জ্জ ও গুলীচালনা হয়। অবশেষে ৩১শে মার্চ্চ “সাইমন কমিশন” বোম্বাই পরিত্যাগ করেন। বাঙ্‌লাদেশে সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে বয়কট আন্দোলন সাফল্যের সহিত পরিচালিত হয়।

 এই উপলক্ষে দেশের সর্ব্বত্র বিরাট উদ্দীপনা ও সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতি পরিলক্ষিত হয়। এই বৎসর মে মাসে পূণাতে মহারাষ্ট্র প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করিতে গিয়া সুভাষচন্দ্র দেশের যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে অভূতপূর্ব্ব উৎসাহ, উদ্দীপনা ও কর্ম্মচাঞ্চল্য প্রত্যক্ষ করেন। এই সম্মেলনে তিনি যুবসম্প্রদায় ও কংগ্রেসকর্ম্মীদিগকে কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করিবার নির্দ্দেশ দেন; ব্যাপক ছাত্রআন্দোলনের জন্য তিনি ছাত্রসমাজকে, স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তুলিবার পরামর্শ দেন। কৃষক-শ্রমিক-যুবক-তরুণ দলকে নিয়া ব্যাপক গণআন্দোলনের এই নবতর কর্মপন্থা প্রচারেই তিনি এই সময়ে বিশেষ ভাবে নিযুক্ত থাকেন। বিখ্যাত মার্কিণ সংবাদিক ডরথি টমসন তাঁহার হিটলার