পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭২
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

 (ক) ব্যায়াম সমিতি, ব্যায়ামাগার, পাঠচক্র, আলোচনা-বৈঠক, সাময়িকপত্র পরিচালনাসংঘ, জাতীয় সংগীত সমাজ, সমাজকল্যান সংঘ, পক্ষীমঙ্গল সমিতি ইত্যাদি স্থাপন করিতে হইবে।

 (খ) নব্যপ্রণালীতে স্বেচ্ছাসেবকবাহিনী গঠন করিতে হইবে। Volunteer organization এর ফলে তরুণ সমাজ নির্ভীক ও শ্রমসহিষ্ণু হইবে—শৃঙ্খলাও আজ্ঞানুবর্ত্তিতা শিক্ষা করিবে, ছাত্র ও যুবক সমাজে প্রীতি ও সহযোগিতার মধ্য দিয়া সংহত শক্তির উদ্ভব হইবে এবং class patriotism এর সৃষ্টি হইবে।

 (গ) যুব সংঘগুলি এক একটি করিয়া যৌথ স্বদেশী ভাণ্ডার খুলিবে। ইহাতে তাহারা অল্পমূল্যে স্বদেশী জিনিস ব্যবহার করিতে পারিবে ও গৃহশিল্পের উন্নতি ও প্রসারে উৎসাহ বর্দ্ধন করিবে। যৌথ কারবার চালাইবার অভিজ্ঞতা হইতে সামাজিক বৃত্তি ও সঙ্ঘ-সংগঠন-প্রতিভার উন্মেষ হইবে।

 (ঘ) ভাবের দৈন্য় ঘুচাইবার জন্য নূতন চিন্তাধারার প্রবর্ত্তন করিতে হইবে। যাহারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃষ্টির কার্য্যে ব্যাপৃত আছে তাহাদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান যাহাতে হয় তাহার জন্য League Of Young Intellectuals গঠন করা আবশ্যক। সাহিত্যিক, শিল্পী, বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিধর্মীসকলেই এই লীগের সভ্য হইবে। সময়োপযোগী সংগীত রচনা, সাহিত্যরচনা, পতাকাসৃষ্টি, মুখপত্রপরিচালনা, অভিনয় কলার অনুশীলন প্রভৃতি এই লীগের কার্য্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত হইবে।

 (ঙ) দেশের মধ্যে যতগুলি যুবকসমিতি ও যুবকদের আন্দোলন আছে সে সকলের মধ্যে নিবিড় যোগসূত্র স্থাপন করিতে হইবে। ভারতের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত যুবক ও তরুণদের প্রাণ এক সুরে বাঁধিতে হইবে। এই সংহত যুবশক্তির সম্মুখে কোনও বাধা-বিঘ্ন দাঁড়াইতে পারিবে না। জাগ্রত যৌবনশক্তি সকল বন্ধন হইতে স্বদেশ ও স্বজাতিকে মুক্ত