পাতা:বিবাহ - কামাখ্যাচরণ বন্দোপাধ্যায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७०१ ) আদর্শ এবং অভিরুচির দিকে তঁহাদের ( পাশ্চাত্য জাতিদের ) বেশী দৃষ্টি, এবং সেইজন্য র্তাহারা পতি ও পত্নীর বিবাহগ্ৰন্থি যাহাতে সহজে খোলা যায়, সেই চেষ্টা করিয়া থাকেন। হিন্দু বলেন, পতি এবং পত্নীর মধ্যে আজ যদি কোন অপ্ৰণয়ের কারণ থাকে, কাল তাহা অদৃশ্য হউক ; মোটকথা, পতি ও পত্নীর মধ্যে সমস্ত অপ্ৰণয়ের কারণ BDD DDD DLDDD BB S EBBBiBB BB DDD KLLDDB বলেন, পতি ও পত্নী আজ পরস্পরের প্রণয়ে ভাসিতেছেন, কিন্তু কাল তাহাদের মধ্যে অপ্ৰণয়ের কারণ উপস্থিত হইলে, পরশ্বই তাহারা বাহাতে দাম্পত্যবন্ধন হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারেন, আইনে এরূপ ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। হিন্দু, পাতিপত্নীর বিরোধ ভাঙ্গিয়া তঁহাদের দাম্পত্যগ্ৰন্থি আঁটিয়া দিতে চান । পাশ্চাত্যেরা পতিপত্নীর বিরোধ প্ৰকারাস্তরে প্রশ্ৰয় দিয়া উহাদের দাম্পত্যগ্ৰন্থি খুলিয়া দিতে চান । হিন্দু সৃষ্টি এবং পালনের পক্ষপাতী, পাশ্চাত্যের প্রলয়ের পক্ষপাতী । হিন্দু ও পাশ্চাত্যদের মধ্যে এই প্ৰভেদটি অতি গুরুতর এবং ইহার তাৎপৰ্য্যও অতি গভীর। ইহার দুইটী তাৎপৰ্য্য আছে। একটি তাৎপৰ্য্য এই, হিন্দু এমন বয়সে কন্যার বিবাহ দেন যে, তখন তাহার পতি তাহাকে শিক্ষা দ্বারা আপনার মনের মত করিয়া লইতে পারেন, এবং সেই জন্য যতদিন যায়, তিনি ততই পতিতে মিশিতে থাকেন, কিন্তু পাশ্চাত্য রমণীদের এমন বয়সে বিবাহ হয় যে, তখন তিনি নুতন শিক্ষা লাভ করিতে অক্ষম, এবং সেই জন্য পতির সহিত অপ্ৰণয়ের কোন কারণ হইলে, পতি তাহা নিবারণ করিতে অক্ষম হন, এবং যতদিন যায়, কারণটি কাজেই তাত প্ৰবল হইয়া উঠে। দুইটি জাতির মধ্যে কন্যার বিবাহের বয়সের প্রভেদ বশতঃ তাহাদিগের দাম্পত্য নীতিতে ও আকাশ-পাতাল প্ৰভেদ ঘটিয়াছে। আর একটি তাৎপৰ্য্য