পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꭹ8ᏱᏬ दिदिक्ष थदक्ष-देिऊँौशू छi१ মারিয়া ফেলে। কোন বস্তু গলিয়া ধ্বংস হয়, কোন বস্তু শুকাইয়া ধ্বংস হয়, কোন বস্তু গুড়া হইয়া যায়, কেহ শুষিয়া যায়। ইহার মধ্যে কে রুদ্র ? বাবাজি। সকলের যে সমষ্টিভাব অর্থাৎ সব একত্রে ভাবিলে যাহা ভাবি, ऊष्ट्रे द्रु । আমি । তবে রুদ্র একজন, না। অনেক ? বাবাজি। এক। যেমন এই ঘটতে যে জল আছে, আর এই জালায় যে জল আছে, আর গঙ্গায় যে জল আছে, সব একই জল, তেমন যেখানেই ধ্বংসকারীকে দেখিবো । সর্বত্রই একই রুদ্র জানিবে। আমি । তিনি অশরীরী ? दादास्त्रि । उ। ऊ। दक्लिलाभ । আমি। তবে মহাদেবমূৰ্ত্তি গড়িয়া তাহাকে উপাসনা করি কেন ? সে কি ঠার রূপ নয় ? বাবাজি । উপাসনার জন্য উপাস্যের স্বরূপ চিন্তা চাই, নহিলে মনোনিবেশ হয় না। তুমি এই নিরাকার বিশ্বব্যাপী রুদ্রের স্বরূপ চিন্তা করিতে পার ? আমি চেষ্টা করিলাম-পারিলাম না । সে কথা স্বীকার করিলাম। বাবাজি বলিলেন, “যাহারা সেরূপ চিন্তা করিতে শিখিয়াছে, তাহারা পারে। কিন্তু তার জন্য জ্ঞানের প্রয়োজন । কিন্তু যাহার জ্ঞান নাই, সে কি উপাসনা হইতে বিরত হইবে ? তাহা উচিত নহে। যাহার জ্ঞান নাই, সে যেরূপে রুদ্রকে চিন্তা করিতে পারে, সেরূপ করিয়া উপাসনা করিবে। এসব স্থলে রূপ কল্পনা করিয়া চিন্তা করা, সহজ উপায়। তুমি যদি এমন একটা মূৰ্ত্তি কল্পনা করা যে, তদ্বিারা সংহারকারিতার আদর্শ বুঝায়, তবে তাহাকে রুদ্রের মূৰ্ত্তি বলিতে পার। তাই রুদ্রের কালভৈরব রূপ কল্পনা । নচেৎ রুদ্রের কোন রূপ নাই । আমি। এ ত বুঝিলাম। কিন্তু যেমন আমার শক্তি আমাতেই আছে, রুত্রের শক্তি অর্থাৎ রুদ্রাণী রুদ্রেই আছে। শিব দুর্গা পৃথক পৃথক করিয়া গড়িয়া পূজা করে কেন ? বাবাজি । তোমাকে ভাবিলেই তোমার শক্তি জানিলাম না । অগ্নিতে যে কখন হাত দেয় নাই, সে অগ্নি দেখিলেই বুঝিতে পারে না যে, অগ্নিতে হাত পুড়িয়া যাইবে। পাজা পুড়িতেছে দেখিয়া, যে আন; ; কখন অগ্নি দেখে নাই, সে বুঝিতে পারে না যে, আগুনের আলো করিবার শক্তি আছে। অতএব শক্তি এবং শক্তির আলোচনা পৃথক