পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/২৭৯

বৃঙ্গদেশের কৃষক RNS মাদার চিরজয়ী কেন ? ইহার কি কোন উপায় হয় না ? যে আইনে কেবল দুর্বলই দণ্ডিত হইল, যাহা বলবানের পক্ষে খাটিল না—সে আইন আইন কিসে? যে আদালতের বল কেবল দুৰ্ব্বলের উপর, বলবানের উপর নহে, সে আদালত আদালত কিসে? শাসনদক্ষ ইংরাজেরা কি ইহার কিছু সুবিধি করিতে পারেন না ? যদি না পারেন, তবে কেন শাসনদক্ষতার গর্ব করেন ? যদি পারেন, তবে মুখ্য কৰ্ত্তব্য সাধনে অবহেলা করেন কেন ? আমরা এই দীন হীন ছয় কোটি বাঙ্গালী কৃষকের জন্য তাহাদিগের নিকট যুক্ত করে ৱোদন করিতেছি।--তাহদের মঙ্গল হউক।-ইংরাজরাজ্য অক্ষয় হউক ।- "তাহারা নিরুপায় কৃষকের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন। কেন যে আইন আদালতে কৃষকের উপকার নাই, তাহার একটি কারণ আমরা সংক্ষেপে নির্দেশ করিব । প্রথমতঃ, মোকদ্দমা আতিশয় ব্যয়সাধ্য হইয়া পড়িয়াছে। কি প্ৰকার ব্যয়, তাহার উদাহরণ আমরা দ্বিতীয় সংখ্যায় দিয়াছি, পুনরুল্লেখের আবশ্যক নাই। যাহা ব্যয়সাধ্য, তাহা দরিদ্র কৃষকদিগের আয়ত্ত নহে। সুতরাং ত্যাহারা তদ্দ্বারা সচরাচর উপকৃত হয় না ; বরং তদ্বিপরীতই ঘটিয়া থাকে। জমীদার ধনী, আদালতের খেলা। তিনি খেলিতে পারেন। দোষে হউক, বিনা দোষে হউক, তিনি ইচ্ছা করিলেই কৃষককে আদালতে লইয়া উপস্থিত করেন। তথায় ধনবানেরই জয়, সুতরাং কৃষকের দুৰ্দশা ঘটে, অতএব আইন আদালত, কৃষককে পীড়িত করিবার, ধনবানের হস্তে আর একটি উপায় মাত্র। দ্বিতীয়তঃ, আদালত প্ৰায় দূরস্থিত। যাহা দূরস্থ, তাহা কৃষকের পক্ষে উপকারী হইতে পারে না। কৃষক ঘর বাড়ী চাষ প্রভৃতি ছাড়িয়া দূরে গিয়া বাস করিয়া মোকদ্দমা চালাইতে পারে না। ব্যয়ের কথা দূরে থাকুক, তাহাতে ইহাদের অনেক কাৰ্য্য ক্ষতি হয়, এবং অনেক অনিষ্টপাতের সম্ভাবনা । কৃষক গোমস্তার নামে নালিশ করিতে গেল, সেই অবসরে গোমস্তার বাধ্য লোকে তাহার ধান फूद्रि कब्रिग्रा ब्लझेश॥ ८१ॉल, न श्ट्र छांद्र ७ीकछन কৃষক গোমস্তার নিকট হইতে পাট্টা লইয়া তাহার জমীখানি দখল করিয়া লইল । তদ্ভিন্ন আমাদিগের দেশের লোক, বিশেষ ইতর লোক অত্যন্ত আলস্যাপরবশ । শীঘ্ৰ নড়ে না, সহজে উঠে না, কোন কাৰ্য্যেই তৎপরতা নাই। দূরে যাইতে চাহে না । কৃষক। বরং জমীদারের অত্যাচার নীরবে সহ্য করিবে, তথাপি দূরে গিয়া তাহার প্রতীকার করিতে চাহে না। যাহারা বিচারকার্য্যে নিযুক্ত, তাহারা জানেন যে, তাহাদের বিচারালয়ের নিকটবত্তী স্থানেরই মোকদ্দমা অনেক ; দূরের মোকদ্দমা প্রায় হয় না। অতএব বিচারক নিকটে