दिदिक्ष প্ৰবন্ধ-দ্বিতীয় एली ܓ9o কোন আপত্তিকারী তাহাও স্বীকার করিতে পারেন। বলিতে পারেন যে, তখন সম ভারতেই অল্প ব্ৰাহ্মণ ছিল—এক্ষণে বৃদ্ধি পাইয়াছে। কিন্তু তাহা হইলে জিজ্ঞাসা করি, যদি পূর্ব হইতে বঙ্গে ব্ৰাহ্মণের বাস ছিল, তবে আদিশূরের পূর্বকালজাত কোন গ্রন্থে তাহার নিদর্শন পাওয়া যায় না কেন ? বরং প্রাচীন গ্ৰস্থাদিতে তথায় ব্ৰাহ্মণের বাস না থাকারই নিদর্শন পাওয়া যায় কেন ? * আমরা পাঠকদিগকে জিজ্ঞাসা করি যে, অষ্টম শতাব্দীর বা আদিশূরের পূর্ববৰ্ত্তী কোন বঙ্গবাসী গ্ৰন্থকারের নাম তাহারা স্মরণ করিয়া বলিতে পারেন । কুল্লুকভট্ট, জয়দেব, গোবৰ্দ্ধনাচাৰ্য্য, হলায়ুধ, উদয়নাচাৰ্য্য প্রভৃতি যাহার নাম করিবেন, সকলই আদিশূরের পরবর্তী। ভট্টনারায়ণ ও শ্ৰীহৰ্ষ তাহার সমকালিক। প্ৰাচীন আৰ্য্যজাতি যেখানে বাস করিয়াছেন, সেইখানেই ব্ৰাহ্মণগণ র্তাহাদিগের পাণ্ডিত্যের চিহ্নস্বরূপ গ্ৰন্থাদি রাখিয়া গিয়াছেন। বাঙ্গালায় যখন ব্ৰাহ্মণ ছিলেন না, তখনকার প্রণীত পুস্তকাদিও নাই। আমরা অবশ্য ইহা স্বীকার করি যে, অষ্টম শতাব্দীর পূর্বেও আৰ্য রাজকুল বাঙ্গালায় ছিল, এবং তাহাদিগের আনুষঙ্গিক ব্ৰাহ্মণও থাকিতে পারেন। সেরূপ অল্পসংখ্যক ব্ৰাহ্মণ আমাদিগের আলোচনার বিষয় নহে। সেরূপ সকল জাতিই সকল দেশে থাকে। কালিফৰ্ণিয়াতেও অনেক চীন আছে। আমরা যে কথা সপ্ৰমাণ করিবার জন্য যত্ন পাইয়াছি, তাহা যদি সত্য হয়, তবে অনেকেই মনে করিবেন যে, বাঙ্গালার ও বাঙ্গালীর বড় লাঘব হইল। আমরা আধুনিক বলিয়া বাঙ্গালীজাতির অগৌরব করা হইল ; আমরা প্ৰাচীন জাতি বলিয়া আধুনিক ইংরেজদিগের সম্মুখে স্পৰ্দ্ধা করি—তা না হইয়া আমরাও আধুনিক হইলাম। আমরা দেখিতেছি না যে, অগৌরব কিছু হইল। আমরা সেই প্ৰাচীন আৰ্য্যজাতিসভৃতই রহিলাম-বাঙ্গালায় যখন আসি না কেন, আমাদিগের পূর্বপুরুষগণ সেই গৌরবান্বিত আৰ্য্য। বরং গৌরবের বৃদ্ধিই হইল। আৰ্য্যগণ বাঙ্গালায় তাদৃশ কিছু মহৎ কীৰ্ত্তি রাখিয়া যান নাই-আৰ্য্যকীৰ্ত্তিভূমি উত্তর পশ্চিমাঞ্চল। এখন দেখা যাইতেছে যে, আমরা সে কীৰ্ত্তি ও যশেরও উত্তরাধিকারী। সেই কীৰ্ত্তিমন্ত পুরুষগণই আমাদিগের পুর্বপুরুষ। দেবে, চোবে, পাড়ে, তেওয়ারীর মত আমরাও ভারতীয় আৰ্য্যগণের প্রাচীন যশোর ভাগী বটে । আমাদের আর একটি কলঙ্কের লাঘব হইতেছে। আদিশূরের সময়ে মোটে সাড়ে সাত শত ঘর ব্ৰাহ্মণ ছিল। বল্লালের সময় সেই সাড়ে সাত শত ঘরের বংশ এবং পঞ্চ ব্ৰাহ্মণের
- বঙ্গে ব্ৰাহ্মণাধিকার প্রথম প্ৰস্তাব দেখ ।
