পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭২ বিবিধ প্ৰবন্ধ-দ্বিতীয় ভাগ । র্তাহারা সমাজের প্রধান শাসনকৰ্ত্তা ছিলেন। আৰ্যসমাজকে র্তাহারা যে দিকে ফিরাইতেন ঘুরাইতেন, আৰ্য্যসমাজ সেই দিকে ফিরিত ঘুরিত। আৰ্যসমাজকে ভঁাতা। যে শিকল পরাইতেন, অলঙ্কার বলিয়া আৰ্যসমাজ সেই শিকল পরিত। भJकालिक ইউরোপের ধৰ্ম্মযাজকগণ সেইরূপ ছিলেন-রাজপুরুষু নহেন, অথচ ইউরোপীয় সমাজের শাসনকৰ্ত্তা, এবং ঘোরতর অত্যাচারী। পোপগণ ইউরোপের রাজা ছিলেন না, এক বিন্দু ভূমির রাজা মাত্র, কিন্তু তাহারা সমগ্ৰ ইউরোপের উপর ঘোরতর অত্যাচর করিয়া গিয়াছেন। গ্রেগরি বা ইনোসেণ্ট, লিও বা আদ্রিয়ান ইউরোপে যতটা অত্যাচার করিয়া গিয়াছেন, দ্বিতীয় ফিলিপ বা চতুৰ্দশ লুই, অষ্টম হেনরি বা প্রথম চালর্স ততদূর করিতে পারেন নাই। কেবল রাজপুরুষ বা ধৰ্ম্মযাজকের দোষ দিয়া ক্ষান্ত হইব কেন ? ইংলণ্ডে এক্ষণে রাজা ( রাজ্ঞী ) কোন প্রকার অত্যাচারে ক্ষমতাশালী নহেন-শাসনশক্তি র্তাহার হস্তে নহে। এক্ষণে প্ৰকৃত শাসনশক্তি ইংলণ্ডে সংবাদপত্ৰলেখকদিগের হস্তে। সুতরাং ইংলণ্ডের সংবাদপত্ৰলেখকগণ অত্যাচারী। যেখানে সামাজিক শক্তি, সেইখানেই সামাজিক অত্যাচার । কিন্তু সমাজের কেবল শাসনকৰ্ত্তা এবং বিধাতৃগণ অত্যাচারী, এমত নহে। অন্য প্ৰকার সামাজিক অত্যাচারী আছে। যে সকল বিষয়ে রাজশাসন নাই, ধৰ্ম্মশাসন নাই, কোন প্ৰকার শাসনকৰ্ত্তার শাসন নাই-সে সকল বিষয়ে সমাজ কাহার মতে চলে ? অধিকাংশের মতে। যেখানে সমাজের এক মত, সেখানে কোন গোলই নাই।-কোন অত্যাচার নাই। কিন্তু এরূপ ঐকমত্য অতি বিরল। সচরাচরই মতভেদ ঘটে । মতভেদ ঘটিলে, অধিকাংশের যে মত, অল্পাংশকে সেই মতে চলিতে হয়। অল্পাংশ ভিন্নমতাবলম্বী হইলেও, অধিকাংশের মতানুসারে কাৰ্য্যকে ঘোরতর দুঃখ বিবেচনা করিলেও, তাহাদিগকে অধিকাংশের মতে চলিতে হইবে। নহিলে অধিকাংশ অল্পাংশকে সমাজবহিষ্কৃত করিয়া দিবে-ব অন্য সামাজিক দণ্ডে পীড়িত করিবে। “ ইহা ঘোরতর সামাজিক অত্যাচার। ইহা অল্পাংশের উপর অধিকাংশের অত্যাচার বলিয়া কথিত হইয়াছে। এদেশে অধিকাংশের মত যে, কেহ হিন্দুবংশজ হইয়া বিধবার বিবাহ দিতে পরিবে: না বা কেহ হিন্দুবংশজ হইয়া সমুদ্রপার হইবে না । অল্পাংশের মত, বিধবার বিবাহ দেওয়া অবশ্য কৰ্ত্তব্য এবং ইংলণ্ডদর্শন পরম ইষ্টসাধক। কিন্তু যদি এই অল্পাংশ আপনাদিগের মতানুসারে কাৰ্য্য করে,-বিধবা কন্যার বিবাহ দেয় বা ইংলণ্ডে যায়, তুবে छाश्क्रा