পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भश्शुरु दिक् ? ৩৯১ উন্নত হইলে, স্বভাবত পুণ্যকৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে প্ৰবৃত্তি জন্মে, তেমনি আর কতকগুলি বৃত্তি আছে, তাহদের উদ্দেশ্য কোন প্রকার কাৰ্য্য নহে-জ্ঞানই তাহাদিগের ক্রিয়া। কাৰ্য্যকারিণী বৃত্তিগুলির অনুশীলন যেমন মনুষ্যজীবনের উদ্দেশ্য, জ্ঞানার্জনী বৃত্তিগুলিরও সেইরূপ অনুশীলন জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। বস্তুতঃ সকল প্ৰকার মানসিক বৃত্তির সম্যক অনুশীলন, সম্পূর্ণ ক্ষুৰ্ত্তি ও যথোচিত উন্নতি ও বিশুদ্ধিই মনুষ্যজীবনের উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্যমাত্র অবলম্বন করিয়া, সম্পদাদিতে উপযুক্ত ঘূণা দেখাইয়া, জীবন নির্বাহ করিয়াছেন, এরূপ মনুষ্য কেহ জন্মগ্রহণ করেন নাই, এমত নহে। তাহাদিগের সংখ্যা অতি অল্প হইলেও, তাহাদিগের জীবনবৃত্ত মুনুষ্যগণের অমূল্য শিক্ষাস্থল। জীবনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে এরূপ শিক্ষা আর কোথাও পাওয়া যায় না। নীতিশাস্ত্ৰ, ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ, বিজ্ঞান, দর্শন প্ৰভৃতি সর্বাপেক্ষা এই প্ৰধান শিক্ষা। দুর্ভাগ্যবশতঃ ইহাদিগের জীবনের গৃঢ় তত্ত্ব সকল অপরিজ্ঞেয়। কেবল দুই জন আপনি আপন জীবন-বৃত্ত লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছেন। একজন গেটে, দ্বিতীয় জন ষ্টয়ার্ট মিল।