পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-a al-a-r


कर्षिJ भश्ांडाब्रऊ । (S) (১) পাঠক বুঝিতে পরিবেন যে, কতিপয় শতাব্দকে এখানে “যুগ” বলা যাইতেছে বিবিধ প্ৰবন্ধ মহাভারত কোন সময়ে প্রণীত হইয়াছিল, তাহ এপৰ্যন্ত নিরূপিত হয় নাই। নিরূপিত হওয়াও অতি কঠিন। মূল গ্ৰন্থ একজন-প্ৰণীত বলিয়াই বোধ হয়, কিন্তু এক্ষণে যাহা মহাভারত বলিয়া প্ৰচলিত, তাহার সকল অংশ। কখন একজনের লিখিত নহে। যেমন একজন একটি অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করিয়া গেলে, তাহার পরপুরুষেরা তাহাতে কেহ একটি নূতন কুঠারি, কেহ বা একটি নূতন বারেণ্ডা, কেহ বা একটি নূতন প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহার বৃদ্ধি করিয়া থাকেন, মহাভারতেরও তাহাঁই ঘটিয়াছে। মূল গ্রন্থের ভিতর পরবর্তী লেখকেরা কোথাও কতকগুলি কবিতা, কোথাও একটি উপন্যাস, কোথাও একটি পৰ্যাধ্যায় সন্নিবেশিত করিয়া বহু সরিতের জুলে পুষ্ট সমুদ্রবৎ বিপুলকলেবর করিয়া তুলিয়াছেন। কোন ভাগ আদিগ্রন্থের অংশ, কোন ভাগ আধুনিক সংযোগ, তাহা সৰ্ব্বত্র নিরূপণ করা অসাধ্য। অতএব আদিগ্রন্থের বয়ঃক্রম নিরূপণ অসাধ্য। তবে উহা যে শ্ৰীমদ্ভাগবতের পূর্বগামী, ইহা বোধ হয় সুশিক্ষিত কেহই অস্বীকার করিবেন না। যদি অন্য প্ৰমাণ নাও থাকে, তবে কেবল রচনাপ্ৰণালী দেখিলে বুঝিতে পারা যায়। ভাগবতের সংস্কৃত অপেক্ষাকৃত আধুনিক ; ভাগবতে কাব্যের গতি অপেক্ষাকৃত আধুনিক scq ے* অতএব প্ৰথম মহাভারত। মহাভারত খ্ৰীষ্টাব্দের অনেক পূর্বে প্রণীত হইয়াছিল, ইহাও অনুভবে বুঝা যায়। মহাভারত পড়িয়া বোধ হয়, ভারতবর্ষীয়দিগের দ্বিতীয়বস্থা, অথবা তৃতীয়াবস্থা ইহাতে পরিচিত হইয়াছে। তখন দ্বাপর, সত্য যুগ আর নাই। যখন স্বরস্বতী ও দৃষদ্বতী তীরে, নবাগত আৰ্য্যবংশ সরল গ্ৰাম্য ধৰ্ম্ম রক্ষা করিয়া, দসু্যভয়ে আকাশ, ভাস্কর, মরুতাদি ভৌতিক শক্তিকে আত্মরক্ষার্থ আহবান করিয়া, অপেয় সোমরস পানকে জীবনের সারা সুখ জ্ঞান, করিয়া আৰ্য্যজীবন নিৰ্বাহ করিতেন, সে সত্য যুগ আর নাই। দ্বিতীয়াবস্থাও নাই। যখন আৰ্য্যগণ সংখ্যায় পরিবদ্ধিত হইয়া, বহু যুদ্ধে যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা করিয়া, দসু্যজয়ে প্ৰবৃত্ত, সে ত্ৰেতা আর নাই। যখন আৰ্য্যগণু, বাহুবলে বহু দেশ অধিকৃত করিয়া, শিল্পাদির উন্নতি করিয়া, প্রথম সভ্যতার সোপানে উঠিয়া, কাশী, অযোধ্যা, মিথিলাদি নগর সংস্থাপিত করিতেছেন, সে ত্ৰেতা আর নাই। যখন আৰ্য্যহৃদয়ক্ষেত্রে নূতন জ্ঞানের অন্ধুর দেখা দিতেছে, সে ত্ৰেতা আর নাই। এক্ষণে দস্থ্যজাতি বিজিত, পদানত, দেশপ্ৰান্তবাসী শূদ্ৰ, ভারতবর্ষ আৰ্য্যগণের করস্থ, আয়ত্ত, ভোগ্য, এবং মহাসমৃদ্ধিশালী। তখন আৰ্য্যগণ বাহ শত্রুর ভয় হইতে নিশ্চিন্ত, আভ্যন্তরিক সমৃদ্ধি সম্পাদনে সচেষ্ট, হস্তগত অনন্তরত্নপ্ৰসবিনী ভারতভূমি অংশীকরণে ব্যস্ত। যাহা সকলে জয় করিয়াছে, তাহা কে ভোগ করিবে ? এই প্রশ্নের ফল আভ্যন্তরিক বিবাদ । তখন আৰ্য্য পৌরুষ চরমে দাড়াইয়াছে। যে হলাহলবৃক্ষের ফলে, দুই সহস্ৰ বৎসর পরে জয়চন্দ্র এবং পৃথ্বীরাজ পরস্পর বিবাদ করিয়া উভয়ে সাহাবুদিনের করতলস্থ হইলেন, এই দ্বাপরে তাহার বীজ বপন হইয়াছে। এই দ্বাপরের Kahr makrrYELA VEr. ... is a ۔ ۔ ۔ ۔ بے نیو