পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তরচরিত " دة कारदान डेनिश नौडिखान नाश्-किड औडिडानन যে উদ্দেশ্য, কাব্যেরও সেই উদশ। কাব্যের গৌণ উদ্দেশ্য মনুষ্যের চিত্তোৎকর্ষ সাধন-চিত্তশুদ্ধি জনন। কবিরা জগতের শিক্ষাদাতা-কিন্তু নীতিব্যাখ্যার দ্বারা তাহারা শিক্ষা দেন না। কথাচ্ছলেও নীতিশিক্ষা দেন না। র্তাহারা সৌন্দৰ্য্যের চরমোৎকর্ষ স্বজনের দ্বারা জগতের চিত্তশুদ্ধি বিধান করেন। এই সৌন্দৰ্য্যের চরমোৎকর্ষের সৃষ্টি কাব্যের भूथा टेलशु) প্ৰথমোক্তটি গৌণ উদ্দেশ্য, শেষোক্তটি মুখ্য উদ্দেশ্য। কথাটা পরিষ্কার হইল না। যদিও উত্তরচরিত সমালোচন পক্ষে এ কথা। আর অধিক পরিষ্কার করিবার প্রয়োজন নাই, তথাপি প্ৰস্তাবের গৌরবানুরোধে আমরা তাহাতে প্ৰবৃত্ত হইলাম । so, চোর চুরি করে । রাজা তাহাকে বলিলেন, “তুমি চুরি করিও না ; আমি তাহা হইলে তোমাকে অবরুদ্ধ করিব।” চোর ভয়ে প্রকাশ্য চুরি হইতে নিবৃত্ত হইল, কিন্তু তাহার চিত্তশুদ্ধি জন্মিল না। সে যখনই বুঝিবে, চুরি করিলে রাজা জানিতে পরিবেন না, তখনই চুরি করিবে। O তাহাকে ধৰ্ম্মোপদেশক বলিলেন, “তুমি চুরি করিও না-চুরি ঈশ্বরাজ্ঞাবিরুদ্ধ।” চোর বলিল, “তাহা হইতে পারে, কিন্তু ঈশ্বর যখন আমার আহারের অপ্রতুল করিয়াছেন, তখন আমি চুরি করিয়াই খাইব।” ধৰ্ম্মোপদেশক বলিলেন, “তুমি চুরি করিলে নরকে যাইবে।” চোর বলিল, “তদ্বিষয়ে প্ৰমাণাভাব।” নীতিবেত্ত কহিতেছেন, “তুমি চুরি করিও না ; কেন না, চুরিতে সকল লোকের অনিষ্ট, যাহাতে সকল লোকের অনিষ্ট, তাহা কাহারও কৰ্ত্তব্য নহে।” চোর বলিবে, “যদি সকল লোক আমার জন্য ভাবিত, আমি তাহা হইলে সকলের জন্য ভাবিতে পারিতাম। লোকে আমায় খেতে দিক, আমি চুরি করিব না। কিন্তু যেখানে লোকে আমায় কিছু দেয় না, সেখানে তাহদের অনিষ্ট হয় হউক, আমি চুরি করিব।” কবি চোরকে কিছু বলিলেন না, চুরি করিতে নিষেধ করিলেন না। কিন্তু তিনি এক সৰ্ব্বজনমনোহর পবিত্র চরিত্র সৃজন করিলেন। সৰ্ব্বজনমনোহর, তাহাতে চোরেরও মন মুগ্ধ হইবে । মনুষ্যের স্বভাব, যে যাহাতে মুগ্ধ হয়, পুনঃ পুনঃ চিত্ত প্রীত হইয়া उनाप्लान। করে। তাহাতে আকাজক্ষা জন্মে-কেন না, লাভাকাঙ্ক্ষার নামই অনুরাগ। এইরূপ্লে পবিত্রতার প্রতি চোরের অনুরাগ জন্মে। সুতরাং চুরি 2 टूटि অপবিত্র কাৰ্য্যে 6न दौउद्भा१ श्यू । W9