পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गां१९Jर्श्वभ S oዓ শিবালয়, কালীর মন্দির দেখি, আমাদের সাংখ্য মনে পড়ে ; যখন দুর্গা কালী জগদ্ধাত্রী পূজার বাদ্য শুনি, আমাদের সাংখ্যদর্শন মনে পড়ে। সহস্ৰ বৎসর কাল বৌদ্ধধৰ্ম্ম ভারতবর্যের প্রধান ধৰ্ম্ম ছিল। ভারতবর্ষের পুরাবৃত্তমধ্যে যে সময়টি সৰ্ব্বাপেক্ষা বিচিত্র এবং সৌষ্ঠব-লক্ষণযুক্ত, সেই সময়টিতেই বৌদ্ধধৰ্ম্ম এই ভারতভূমির প্রধান ধৰ্ম্ম ছিল। ভারতবর্ষ হইতে দূরীকৃত হইয়া সিংহলে, নেপালে, তিব্বতে, চীনে, ব্ৰহ্মে, শ্যামে এই ধৰ্ম্ম অদ্যাপি ব্যাপিয়া রহিয়াছে। সেই বৌদ্ধধৰ্ম্মের আদি এই সাংখ্যদর্শনে। বেদে অবজ্ঞা, নিৰ্ব্বাণ এবং নিরীশ্বরতা, বৌদ্ধধৰ্ম্মে এই তিনটি নুতন ; এই তিনটিই ঐ ধৰ্ম্মের কলেবর । উপস্থিত লেখক কর্তৃক ১০৬ সংখ্যক কলিকাতা রিবিউতে “বৌদ্ধধৰ্ম্ম এবং সাংখ্যদর্শন” ইতি প্ৰবন্ধে প্ৰতিপন্ন করা হইয়াছে যে, এই তিনটিরই মূল সাংখ্যদর্শনে। নিৰ্ব্বাণ, সাংখ্যের মুক্তির পরিমাণ মাত্র। বেদের অবজ্ঞা সাংখ্যে প্রকাশ্যে কোথাও নাই, বরং বৈদিকতার আড়ম্বর অনেক । কিন্তু সাংখ্যপ্ৰবচনকার বেদের দোহাই দিয়া শেষে বেদের মূলোচ্ছেদ করিয়াছেন ।* কথিত হইয়াছে যে, যত লোক বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী, তত সংখ্যক অন্য কোন ধৰ্ম্মাবলম্বী লোক পৃথিবীতে নাই । সংখ্যা সম্বন্ধে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মাবলম্বীরা তৎপরবত্তাঁ । সুতরাং যদি কেহ জিজ্ঞাসা করে, পুথিবীতে অবতীর্ণ মনুষ্যমধ্যে কে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক লোকের জীবনের উপর প্রভুত্ব করিয়াছেন, তখন আমরা প্ৰথমে শাক্যসিংহের, তৎপরে খ্ৰীষ্টের নাম করিব । কিন্তু শাক সিংহের সঙ্গে সঙ্গে কপিলেরও নাম করিতে হইবে । অতএব স্পষ্টাক্ষরে বলা যাইতে পারে যে, পৃথিবীতে সে সকল দর্শনশাস্ত্র অবতীর্ণ হইয়াছে, সাংখ্যের ন্যায় কেহ বহু ফলোৎপাদক হয় নাই । সাংখ্যের প্রথমোৎপত্তি কোন কালে হইয়াছিল, তাহ স্থির করা আতি কঠিন । সম্ভবতঃ উহা বৌদ্ধধৰ্ম্মের পূৰ্ব্বে প্রচারিত হইয়াছিল। কিম্বদন্তী আছে যে, কপিল উহার প্রণেতা। এ কিম্বদন্তীর প্রতি আবিশ্বাস করিবার কোন কারণ নাই । কিন্তু তিনি কে, কোন কালে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহা জানিবার কোন উপায় নাই । কেবল ইহাই বলা যাইতে পারে যে, তাদৃশ বুদ্ধিশালী ব্যক্তি পৃথিবীতে অল্পই জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। পাঠক স্মরণ রাখিবেন যে, আমরা “নিরীশ্বর সাংখ্যকেই” সাংখ্য বলিতেছি । পতঞ্জলিংপ্ৰণীত যোগশাস্ত্ৰকে সেশ্বর সাংখ্য বলিয়া থাকে। এ প্ৰবন্ধে তাহার কোন কথা নাই । সাংখ্যদর্শন অতি প্ৰাচীন হইলেও, বিশেষ প্ৰাচীন সাংখ্যগ্রন্থ দেখা যায় না । সাংখ্য প্ৰবচনকে অনেকেই কাপিল সূত্র বলেন, কিন্তু তাহা কখনই কপিল প্ৰণীত নহে। উহা যে বৌদ্ধ, ন্যায়, মীমাংসা প্রভৃতি দর্শনের প্রচারের পরে প্রণীত হইয়াছিল, তাহার S LLLLLSLLLSLLSLLSL LSSLLS S LSL SLS LL LLL LLLLLL Apsis ber al-AD Kr Y.srn ap ruar

  • বৌদ্ধধৰ্ম্ম যে সাংখ্যমূলক, তাহার প্রমাণ সবিস্তারে দিবার স্থান এ নহে।