পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS O বিবিধ প্ৰবন্ধ আবার কালি ক্ষুধা পাইবে । বিষয়ান্তরে চিত্ত রাত করিয়া, তুমি এবার পুত্ৰশোক নিবারণ করিলে, কিন্তু আবার অন্য পুত্রের জন্য তোমাকে হয় ত সেইরূপ শোক পাইতে হইবে । পরন্তু এরাপ উপায় সৰ্ব্বত্র সম্ভাবে না । তোমার হস্ত পদ ছিন্ন হইলে আর লগ্ন হইবে না। যেখানে সম্ভবে, সেখানেও তাহা সদুপায় বলিয়া গণ্য হইতে পারে না । অন্য বিষয়ে নিরিত হইলেষ্ট পুত্ৰশোক বিস্মৃত হওয়া যায় না ( ১ অধ্যায়, ৪ সূত্র ) । তবে এ সকল দুঃখ নিবারণের উপায় নহে। আধুনিক বিজ্ঞানবিৎ কোমতের শিষ্য বলিবেন, তবে আর দুঃখ নিবারণের কি উপায় আছে ? আমরা জানি যে, জলসেক করিলেই অগ্নি নিৰ্ব্বাণ হয়, কিন্তু শীতল ইন্ধন পুজিব্রালিত হইতে পারে বলিয়া তুমি যদি জলকে অগ্নিনাশক না বল, তবে কথা ফুরাইল । তাহা হইলে দেহধ্বংস ভিন্ন আর জীবের দুঃখনিবৃত্তি নাই । KSDBDBBK DSKDS DtkuB BDS Dutt SYSDD DBBS S SBBDD BBSuBuBB BDDS পৌনঃপুন্য আছে ভাবিয়া এবং জরাণপণাদি জে দুঃখ সমান ভাবিয়া তাহাও দুঃখ নিবারণের DBOBB BBBDBD KK S BSD D S S BDSSJS D BBBS S BDB BD BBBSBBBB BB হইলেও তদাবস্থাকে “ঃখনিবৃত্ত্বি বলেন না ; কেন না, যে জলমগ্ন, তাহার আবার উত্থান আছে ( ঐ, ৫৭ ) । তবে দুঃখ নিবারণ কাহাকে বলি ? অপবর্গ অপবৰ্গই বা কি ? “দ্ধ " ই দুঃখনিবৃত্তি । দ্বয়োরেকতরস্য বৌদাসীন্যমপবর্গঃ ” ( তৃতীয় অধ্যায়, ৬৫ সূত্র ) । সেই অপবর্গ কি, এবং কি প্ৰকাপে তাহ প্ৰাপ্ত হওয়া যায়, তাহ পরপরিচ্ছেদে সবিশেষ বলিব । “ অপবৰ্গ” ইত্যাদি প্ৰাচীন কথা শুনিয়া পাঠক ঘৃণা করিবেন না । যাহা প্ৰাচীন, তাহাই যে উপধৰ্ম্মক লঙ্গিত বা সপ্তর্বিজনপরিজ্ঞাত, এমন মনে করিবেন না । বিবেচক দেখিপেন, সাংখ্যদর্শনে একটু সার ও আছে। অসার বুক্ষে এমন স্থায়ী ফল ফলিনে কেন ? দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ বিবেক আমি যত দুঃখ ভোগ করি।-কিন্তু আমি কে ? বাহা প্ৰকৃতি ভিন্ন আর কিছুই আমাদের ইন্দ্ৰিয়ের গোচর নহে। তুমি বলিতেছ, তামি বড় দুঃখ পাইতেছি,-আমি বড় সুখী । কিন্তু একটি মনুস্যদেহ ভিন্ন “তুমি” বলিব, এমন কোন সামগ্ৰী দেখিতে পাই না। তোমার দেহ এবং দৈহিক প্রক্রিয়া, ইহাই কেবল আমার জ্ঞানগোচর। তবে কি তোমার দেহেরই এই সুখ দুঃখ ভোগ বলিব ?