পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/১২০

Σο বিবিধ প্ৰবন্ধ জবা কুসুম রাখিলে, পাত্র পুষ্পের বর্ণবিশিষ্ট হয় বলিয়া, পুষ্প এবং পাত্রে একপ্রকার সংযোগ আছে বলা যায়, এ সেইরূপ সংযোগ । পুষ্প এবং পাত্ৰমধ্যে ব্যবধান থাকিলেও পাত্রের বর্ণ বিকৃত হইতে পারে, ইহাও সেইরূপ । এ সংযোগ নিত্য নহে, দেখা যাইতেছে। সুতরাং তাস্থার উচ্ছেদ হইতে পারে। সেই সংযোগ উচ্ছেদ হইলেই, দুঃখের কারণ আপনীত হইল। অতএব এই সংযোগের উচ্ছিত্তিই দুঃখনিবারণের উপায়। সুতরাং তাহাই পুরুষাৰ্থ। “যদ্বা তদ্ধা। তদুচ্ছিত্তিঃ পুরুষাৰ্থস্তদুচ্ছিত্তিঃ পুরুষাৰ্থঃ” ( ৬, ৭০ ) । সাংখ্যের মত এই। যদি আত্মা শরীর হইতে পৃথক হয়, যদি আত্মাই সুখদুঃখভোগী হয়, যদি আত্মা দেহনাশের পরেও থাকে, যদি দেহ হইতে বিযুক্ত আত্মার সুখদুঃখাদি ভোগের সম্ভাবনা থাকে, তবে সাংখ্যদর্শনের এ সকল কথা যথাৰ্থ বলিয়া স্বীকার করিতে হইবে । কিন্তু এই “যদি”গুলিন অনেক । আধুনিক পজিটিবিষ্ট এখনই বলিবেন,— ১ম । আত্মা শরীর হইতে পৃথক কিসে জানিতেছ ? শারীর তত্ত্বে প্ৰতিপন্ন হইতেছে যে, শরীরই বা শরীরের অংশবিশেষই আত্মা । ১য়। আত্মাই যে সুখদুঃখভোগী, তাহারই বা প্ৰমাণ কি ? প্ৰকৃতি সুখদুঃখভোগী নহে কেন ? ৩য়। দেহনাশের পর যে আত্মা থাকিবে, তাহা ধৰ্ম্মপুস্তকে বলে ; কিন্তু তদ্ভিন্ন অণুমাত্র প্রমাণ নাই। আত্মার নিত্যত্ব যদি মানিতে হয়, তবে ধৰ্ম্মপুস্তকের আজ্ঞানুসারে ; দর্শনশাস্ত্রের আজ্ঞানুসারে মানিব না। ৪র্থ । দেহধ্বংসের পর আত্মা থাকিলে, তাহার যে আবার জরামরণাদিজ দুঃখের সম্ভাবনা আছে, তাহার কিছুমাত্র প্রমাণ নাই DBDDLSBB BBDBB DDBB KBBD D BDDD BBDBBDSDDDDBD BDDBB DDBBD DS এবং এ সকল মত যে, এ কালে গ্ৰাহা হইবে, এমত বিবেচনায় আমরা সাংখ্যদর্শন বুঝাইতে প্ৰবৃত্ত হই নাই। কিন্তু এক্ষণে যাহা অগ্ৰাহ, দুই সহস্ৰ বৎসর পূর্বে তাহা আশ্চৰ্য্য আবিক্রিয়া । সেই আশ্চৰ্য্য আবিক্রিয়া কি, ইহাই বুঝান আমাদিগের অভিপ্ৰায় । প্রকৃতি-পুরুষের সংযোগের উচ্ছিত্তিই অপবর্গ বা মোক্ষ। তাহা কি প্রকারে প্রাপ্ত হওয়া যায় ? সাংখ্যকার বলেন, বিবেকের দ্বারা । কিন্তু কোন প্রকার বিবেকের দ্বারা মোক্ষ লাভ হয় ? প্ৰকৃতিবিষয়ে যে অবিবেক, সকল অবিবেক তাহার অন্তর্গত। অতএব প্ৰকৃতিপুরুষসম্বন্ধীয় জ্ঞানদ্বারাই মোক্ষ লাভ হয় । অতএব জ্ঞানেই মুক্তি। পাশ্চাত্য সভ্যতার মূল কথা, “জ্ঞানেই শক্তি” (Knowledge in Power.); foogoeyvio o°T go), “eaï(qo so " go gifs