পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশের কৃষক პ\ტტ তখন অগত্যা প্ৰজার শেষ উপায় অবলম্বা করিল-ফৌজদারিতে গিয়া নালিশ করিল। মাজিষ্ট্রেট সাহেব। আশামীদিগকে সাজা দিলেন। আশামীর আপিল করিল, জজ সাহেব বলিলেন, “প্রজাদিগের উপর অত্যন্ত অত্যাচার হইয়াছে বটে, কিন্তু আইন অনুসারে আমি আশামীদিগকে খালাস দিলাম।” সুবিচার হইল। কে না জানে, বিচারের উদ্দেশ্য। আশামী খালাস ? এটি উপন্যাস নহে। আমরা ইণ্ডিয়ান অবৃজর্বর হইতে ইহা উদ্ধত করিলাম। দুষ্ট লোক সকল সম্প্রদায়মধ্যেই আছে, দুই একজন দুষ্ট লোকের দুষ্কৰ্ম্ম উদাহরণ-স্বরূপ উল্লেখ করিয়া সম্প্রদায়ের প্রতি দোষারোপ করা অবিচার। যদি এ উদাহরণ সেরূপ হইত, তাহা হইলে ইহা আমরা প্রয়োগ করিতাম না। এ তাহা নহে? --এরূপ ঘটনা সচরাচর ঘটতেছে । র্যাহারা ইহা অস্বীকার করেন, তঁাহারা পল্লীগ্রামের অবস্থা কিছুই で帝|びエ エi উপরে লিখিত তালিকার শেষ বিষয়টিৰ উপর পাঠক একবার দৃষ্টিপাত করিবেন,- “ডাকটেক্স”। গবৰ্ণমেণ্ট নানাবিধ করে বসাইতেছেন, জমীদারেরা তাহা লইয়া মহাকোলাহল করিয়া থাকেন । কিন্তু তঁাহারা সকলেই কি ঘর হইতে টেক্স দিয়া থাকেন ? ঐ “ডাকটেক্স” কথাটি তাহার প্রমাণ। গবৰ্ণমেণ্ট বিধান করিলেন, মফঃসলে ডাক চলিবে, জমিদারেরা তাহার খরচা দিবেন। জমাদারেরা মনে মনে বলিলেন, “ভাল, দিতে হয় দিব, কিন্তু ঘরে থেকে দিব না । আমরাও প্রজাদের উপর টেসূৰ্য বসাইব । যদি বসাইতে হইল, তবে একটু চাপাইয়া বসাই, যেন কিছু মুনাফা থাকে।” তাহাঁই করিলেন । প্ৰজার খরচে ডাক চলিতে লাগিল—জমীদারের মাঝে থাকিয়া কিছু লাভ করিলেন। গবৰ্ণমেণ্ট যখন টেক্স বসান, একবার যেন ভাবিয়া দেখেন, কাহার ঘাড়ে পড়ে । ইনকামটেক্স ও ঐরূপ। প্ৰজারা জমীদারের ইনকমটেক্স দেয় । এবং জমীদার তাহা হইতেও কিছু মুনফা রাখেন । খাস মহল র্যাহারা গ্ৰহণ করেন, তঁাহাদিগকে রোড ফ'ণ্ড দিতে হয়। ঐ রোড ফণ্ড, আমরা ভূস্বামীর জমাওয়াশীল বাকিভুক্ত দেখিয়াছি। রোডসেস্ এই প্ৰবন্ধ লিপির সময় পৰ্য্যন্ত গবৰ্ণমেণ্ট, কোথাও হইতে আদায় করেন নাই । কিন্তু জমীদারের কেহ কেহ আদায় করিতেছেন । আদায় করিবার অধিকার আছে, কিন্তু তাহা টাকায় এক পয়সার তাধিক হইতে পারে না । এক জেলায় এক জন জমীদার। ইহার মধ্যে টাকায় চারি। আনা আদায় করিতে আরম্ভ করিলেন । এক জন প্ৰজা দিতে স্বীকৃত না হওয়াতে, তাহাকে ধরিয়া আনিয়া পীড়ন আরম্ভ করিলেন। প্ৰজা নালিশ VO