পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Or বিবিধ প্ৰবন্ধ-দ্বিতীয় ভাগ আদিম ধনসঞ্চয় হইয়া থাকে ? দুইটি কারণ সংক্ষেপে নির্দিষ্ট করা যাইতে পারে। প্রথম কারণ, ভূমির উর্বরতা । ঘো দেশের ভূমি উর্বরা, সে দেশে সহজে অধিক শস্য উৎপন্ন হইতে পারে। সুতরাং শ্রমোপজীবীদিগের ভরণপোষণের পর আরও কিছু অবশিষ্ট থাকিয়া সঞ্চিত হইবে । দ্বিতীয় কারণ, দেশের উষ্ণতা বা শীতলতা। শীতোষ্ণতার ফল দ্বিবিধ । প্রথমতঃ, নে দেশ টেষ্ণ, সে দেশের লোকের আল্লাহ (রা আবশ্যক, শীতল দেশে অধিক আহার আবশ্যক। এই কথা কতকগুলিন স্বাভাবিক নিয়মের উপর নির্ভর করে, তাহা এই ক্ষুদ্র প্ৰবন্ধে লিখিবার স্থান নাই । আমরা এতাদংশ বকুলের গ্রন্থের অনুবত্তী হইয়া লিখিতেছি ; কৌতুহল বিষ্ট পাঠক সেই গ্রন্থে দেখিবেন যে, যে দেশের লোকের সাধারণতঃ অল্প খান্তের প্রয়োজন, সে দেশে শীঘ্র সে সামাজিক ধন সঞ্চয় হইবে, তদ্বিসয়ে সন্দেহ নাই। উষ্ণতার দ্বিতীয় ফল, বকুল এই বলেন সে, তাপা ধিক্য হেতু লোকের শারীরিক তাপজনিক খাদ্যের তত আবশ্যকতা হয় না । সে দেশ শীতল, সে দেশে শারীরিক তাপ জনক খাদ্য অধিক আবশ্যক। শারীরিক তাপ শ্বাসগত বায়ার অনুজনের সঙ্গে শরীরস্থ দ্রব্যের কার্বনের রাসায়নিক সংযোগের ফল । অতএব নে খাদ্যে কাৰ্ব্বন অধিক আছে, তাহাই তাপীজনক ভোজ্য। মাংসাদিতেই অধিক কাৰ্ব্বন। অতএব শীতপ্রধান দেশের লোকের মাংসাদির BBBB BBLBBuBuB S S B BDBB DS DD BBuBDBBBD BBBYSuBBB DBBB KBBB S বনজ সহজে প্ৰাপ্য-কিন্তু পশুহনন কষ্টসাধ্য, এবং ভোজ্য পশু দুর্লভ । অতএব উষ্ণ দেশের খাদ্য অপেক্ষাকৃত সুলভ। খাদ্য সুলভ বলিয়া শীঘ্ৰ ধনসম্পায় হয় । ভারতবর্ষ উষ্ণদেশ এবং তথায় ভূমি ও উর্বরা । সুতরাং ভারতবর্ষে অতি শীঘ্ৰ ধনসঞ্চয় হওয়াই সম্ভব। এই জন্য ভারতবর্ষে অতি পূৰ্ব্বকালেই সভ্যতার অভু্যদয় তই য়াছিল। ধনাধিকা হেতু একটি সম্প্রদায় কায়িক পরিশ্রম তইতে অবসর লইয়া জ্ঞানালোচনায় তৎপর হইতে পারিয়াছিলেন। তঁহাদিগের অজিত ও প্রচারিত জ্ঞানের কারণেই ভারতবর্যের সভ্যতা । পাঠক বুঝিয়াছেন যে, আমরা ব্ৰাহ্মণদিগের কথা বলিতেছি । কিন্তু এইরূপ প্ৰথমকালিক সভ্যতাই ভারতীয় প্রজার দূরদৃষ্টের মূল । যে যে নিয়মের বশে আকালে সভ্যতা জন্মিয়াছিল, সেই সেই নিয়মের বশেই তাহার অধিক উন্নতি কোন কালেই হইতে পারিল না,-সেই সেই নিয়মের বশেই সাধারণ প্রজার দুর্দশা ঘটিল। প্ৰভাতেই মেঘাচ্ছন্ন। বালতারু ফলবান হওয়া ভাল নহে। যখন জনসমাজে ধন সঞ্চয় হইল, তখন কাজে কাজেই সমাজ দ্বিভাগে বিভক্ত হইল । এক ভাগ শ্রম করে ; এক ভাগ শ্রম করে না । এই দ্বিতীয় ভাগের শ্রম করিবার অবশ্যকতা নাই বলিয়া তাহারা করে না ; প্ৰথম ভাগের উৎপাদিত অতিরিক্ত খাদ্যে