পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ტ88 दिविस (2दश-विउंौश उठां5ों এই দ্বিবিধ সামাজিক দুঃখ, আমি কয়েকটি উদাহরণের দ্বারা বুঝাইতে চেষ্টা করিব। স্বাধীনতার হানি, একটি দুঃখ সন্দেহ নাই। কিন্তু সমাজে বাস করিলে অবশ্যই স্বাধীনতার ক্ষতি স্বীকার করিতে হইবে। যতগুলি মনুষ্য সমােজসভূক্ত, আমি, সমাজে বাস করিয়া, ততওঁলি মনুষ্যেরই কিয়দংশে অধীন—এবং সমাজের কর্তৃগণের বিশেষ প্রকারে অধীন। অতএব স্বাধীনতার হানি একটি সামাজিক নিত্য দুঃখ । স্বানুবৰ্ত্তিতা একটি পরম সুখ । স্বানুবৰ্ত্তিতার ক্ষতি পরম দুঃখ । জগদীশ্বর আমাদিগকে যে সকল শারীরিক এবং মানসিক বৃত্তি দিয়াছেন, তাহার স্মৃৰ্ত্তিতেই আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুখ। যদি আমাকে চক্ষু দিয়া থাকেন, তবে যাহা কিছু দেখিবার আছে, তাহা দেখিয়াই আমার চাক্ষুষ সুখ । চক্ষু পাইয়া যদি আমি চক্ষু চিরমুদ্রিত রাখিলাম—তবে চক্ষু সম্বন্ধে আমি চিরদুঃখী । যদি আমি কখনও কখনও বা কোন কোন বস্তুসম্বন্ধে চক্ষু মুদ্রিত করিতে বাধ্য হইলাম-দৃশ্য বস্তু দেখিতে পাইলাম না-তবে আমি কিয়দংশে চক্ষু সম্বন্ধে দুঃখী । আমি বুদ্ধিবৃত্তি পাইয়াছি—বুদ্ধির স্মৃৰ্ত্তিই আমার সুখ । যদি আমি বুদ্ধির মার্জনে ও স্বেচ্ছামত পরিচালনে চিরনিষিদ্ধ হই, তবে বুদ্ধিসম্বন্ধে আমি চির দুঃখী । যদি বুদ্ধির পরিচালনে আমি কোন দিকে নিষিদ্ধ হই, তবে আমি সেই পরিমাণে বুদ্ধিসম্বন্ধে দুঃখী । সমাজে থাকিলে আমি সকল দৃশ্য বস্তু দেখিতে পাই না-সকল দিকে বুদ্ধি পরিচালনা করিতে পাই না। মনুষ্য কাটিয়া বিজ্ঞান শিখিতে পাই না—অথবা রাজপুরীমধ্যে প্রবেশ করিয়া দিদৃক্ষা পরিতৃপ্ত করিতে পারি না। এগুলি সমাজের মঙ্গলকর হইলেও, স্বানুবৰ্ত্তিতার নিষেধক বটে। অতএব এগুলি সামাজিক मिडJए:२। দারিদ্র্যের কথা পূর্বেই বলিয়াছি। অসামাজিক অবস্থায় কেহই দরিদ্র নহে-বনের ফল-মূল, বনের পশু সকলেরই প্ৰাপ্য ; নদীর জল, বৃক্ষের ছায়া সকলেরই ভোগ্য। আহাৰ্য্য, পেয়, আশ্রয় শরীরধারণের জন্য যতটুকু প্রয়োজনীয়, তাহার অধিক কেহ কামনা করে না, কেহ আবশ্যকীয় বিবেচনা করে না, কেহ সংগ্ৰহ করে না । অতএব একের অপেক্ষা অন্যে ধনী নহে, একের অপেক্ষা অন্যে কাজে কাজেই দরিদ্র নহে। কাজে কাজেই অসামাজিক অবস্থা দারিদ্র্যশূন্য। দারিদ্র্য তারতম্যঘটিত কথা ; সে তারতম্য সামাজিকতার নিত্যফল। দারিদ্র্য সামাজিকতার নিত্য কুফল। সামাজিকতার এই এক জাতীয় ফল। যত দিন মনুষ্য সমাজবদ্ধ থাকিবে, তত দিন এ সকল ফল নিবাৰ্য্য নহে। কিন্তু আর কতকগুলি সামাজিক দুঃখ আছে, তাহা অনিত্য এবং নিবাৰ্য্য। এ দেশে বলে, বিধবাগণ যে বিবাহ করিতে পারে না, ইহা সামাজিক কুপ্ৰথা, সামাজিক দুঃখ-নৈসৰ্গিক নহে। সমাজের গতি ফিরিলেই এ দুঃখ