পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> o বিবিধ কথা ধাৰ্ম্মিক ছিলেন না। রামমোহনের প্রতিভার প্রধান কৃতিত্বই এই যে, তিনি রাষ্ট্রে সমাজে ও শিক্ষায় একটা নূতন যুগোপযোগী আদশের সন্ধান করিয়াছিলেন—ভগবৎ-লাভের উৎকৃষ্টতর পন্থানিৰ্দেশ, নূতন করিয়া মোক্ষশাস্ত্র রচনা, তাহার অভিপ্রায় ছিল না ; বলহীনকে পার্থিব জীবনে শক্তিমান করিয়া তোলাই তাহার একমাত্র লক্ষ্য ছিল। মধ্যযুগের ধাৰ্ম্মিকতার আদর্শকেই সংস্কার করিয়া পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করিতে তিনি চান নাই ; জীবনে উন্নতি লাভ করিতে হইলে, জাতিহিসাবে রাষ্ট্রে ও সমাজে স্বপ্রতিষ্ঠ হইতে হইলে, প্রত্যক্ষকে স্বীকার কর, এবং তজ্জন্য সহজ মানবীয় জ্ঞানবুদ্ধির আরাধনা কর—ইহাই ছিল তাঙ্গর ধৰ্ম্ম ; পৌত্তলিক ধর্মের ভাবসাধনায় যে বক্রকুটিল গহন-গৃঢ় আরণ্য পথ মানুষকে সহজ সত্য ও সামাজিক শক্তিসাধনা হইতে দূরে লইয়া যায়, ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব খর্ব করে, তাহাকে বর্জন কর । শ্ৰীযুক্ত গিরিজাশঙ্কর রায়চৌধুরী মহাশয় তাহার অতি স্থচিন্তিত ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ গ্রন্থ “বিবেকানন্দ ও বাংলার উনবিংশ শতাব্দীর এক স্থানে রামমোহন-সম্পর্কিত আলোচনায় রামমোহনের একখানি ইংরেজী পত্রের যে অংশটি উদ্ধৃত করিয়াছেন, তাহা অতিশয় অর্থপূর্ণ ; আমিও এখানে তাহ উদ্ধৃত করা প্রয়োজন মনে করি । সে কয় ছত্র এইরূপ— I regret to say that the present system of religion adhered to by the Hindus is not well calculated to promote their political interest....It is, I think, necessary that some change should take place in their religion at least for the sake of their political advantage and social comfort.