পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্র ও বাংলার নবযুগ ఏ) উক্ত গ্রন্থে প্রসঙ্গক্রমে রামমোহনের গ্রন্থ হইতে আর একটি উক্তি উদ্ধৃত হইয়াছে, তাহাও লক্ষ্য করিবার মত— Genuine Christianity is more conducive to the moral, social and political progress of a people than any other human creed. এ সকল হইতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, রামমোহন কেন ধৰ্ম্মসংস্কার করিতে চাহিয়াছিলেন । খ্ৰীষ্টান সাহিত্য ও খ্ৰীষ্টান চরিত্র এবং খ্ৰীষ্টান রাজশক্তির প্রভাব একালে বাঙালীর মনকে হঠাৎ একটা বড় ধাক্কা দিয়াছিল—তুলনায় নিজেদের হীনতাবোধ বড় বেশি করিয়া বাজিয়াছিল। বাঙালী নূতন করিয়া মানুষ হইতে চাহিল ; এবং এক যুগের নিশান্তকালে, অরুণোদয়-প্রতীক্ষায়, পশ্চিমকেই পূৰ্ব্বদিক প্রান্ত বলিয় তাহার দিঙমোহ হইয়াছিল। তথাপি রামমোহন একটা ধৰ্ম্মমত সঙ্কলন করিয়াছিলেন মাত্র—ধৰ্ম্ম-প্রচারক ছিলেন না ; তিনি কোনও পৃথক সমাজস্থাপনের চেষ্টাও করেন নাই । রামমোহন চিন্তা করিয়াছিলেন, তর্ক করিয়াছিলেন, লেখালেখি করিয়াছিলেন। তিনি যুক্তিবাদী ছিলেন, কোনও ভক্তিবিশ্বাসের আবেগ তাহার ছিল ন!—র্তাহার ধৰ্ম্মও আবেগের ধৰ্ম্ম ছিল না। তাই তিনি নবযুগের একটা আদর্শ নির্দেশ করিয়াছিলেন মাত্র, জাতির জীবনে বা তাহার হৃদয়ে তাহাকে প্রতিষ্ঠিত করিবার কোন চেষ্টাই তিনি করেন নাই । রামমোহন র্তাহার ব্যক্তিগত জীবনে যে নীতির অনুসরণ করিয়াছিলেন—অপক্ষপাত সহকারে তাহার জীবনবৃত্ত আলোচনা করিলে তাহার যে ব্যক্তিস্বরূপ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়— তাহাতেই বুঝিতে পারি যে, তিনি ভক্তমণ্ডলীর অনুকরণীয় আদৰ্শরূপে নিজ জীবন যাপন করেন নাই। সেখানেও, তিনি বুদ্ধিমান ও শক্তিমান