yes, energy—I have that in a great measure in my character and in my church.
কেশবের চরিত্রে এই শিশুর মত সারল্য ও আত্মপ্রত্যয় বড়ই উপভোগ্য। “Am I not practical too?”—সেদিন কেশবের এই উক্তি তাঁহার শ্রোতৃবর্গ কি ভাবে গ্রহণ করিয়াছিলেন জানি না; কিন্তু এতদিন পরে আজ আমরা দূর কণ্ঠের এই আকুল প্রশ্ন শুনিয়া বেদনা অনুভব করি। কেশব নিজের সম্বন্ধে যে কর্ম্মবীর্য্যের কথা বলিয়াছেন, তাহা খুবই সত্য,—যে জ্বলন্ত বিশ্বাস ও নৈতিক উৎসাহ তাঁহার কর্ম্মজীবনে আমরা দেখিতে পাই, তাহাতেই তিনি আমাদের দেশের নবযুগকে একটি বিশেষ দিক দিয়া অগ্রসর করিয়া দিয়াছিলেন। কিন্তু শেষ পর্য্যন্ত তিনি ‘মিষ্টিক’—ঊনবিংশ শতাব্দীতেও খ্রীষ্ট ও চৈতন্যের বংশধর। ইহাই তাঁহার আত্মার স্বধর্ম্ম; তিনি যদি নিজ জীবনে সিদ্ধিলাভ করিয়াই সন্তুষ্ট থাকিতেন, তবে কথাই ছিল না। কিন্তু তিনি তাহা পারেন নাই; জাতির পরিত্রাণের জন্য যুগোচিত ধর্ম্মচিন্তা তাঁহাকে ব্যাকুল করিয়াছিল; ইহাই তাঁহার মহত্ব, এই জন্যই তিনি সে যুগের একজন স্মরণীয় পুরুষ। বর্ত্তমান যুগ ক্রমশই গণতন্ত্রের দিকে চলিয়াছে। একেশ্বরবাদ একদিন মানুষের ভ্রাতৃত্ববন্ধন দৃঢ় করিয়াছিল, কিন্তু তাহার মূলে ছিল ঈশ্বরাদেশের কঠিন শাসন। ভক্ত কেশব এই শাসনকে স্বাধীন আত্মার সানন্দ স্বীকৃতির সহিত যুক্ত করিয়া লইলেও তিনি মানুষকে বড় করেন নাই, বরং সর্ব্বত্র সকল কর্ম্মে, মিস্টিক যোগীর মত, আত্মলব্ধ ঈশ্বরাদেশকেই শিরোধার্য্য করিয়াছেন। ইহাই চিরযুগের ভক্ত সাধকগণের চরিত্র-নীতি। কিন্তু এ যুগের সাধনায় এই মধ্যযুগীয়