পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ : oఏ २ শ্রীরামকৃষ্ণের শতবার্ষিক উৎসব উপলক্ষ্যে যে কয়টি কথা আমার মনে হইয়াছে তাহ লিপিবদ্ধ করিবার পূৰ্ব্বে আমি আর একটি কথা বলিব। আমাদের পঞ্জিকায় মহাপুরুষগণের আবির্ভাব ও তিরোভাবের যে পৰ্ব্বদিবস ও তাহার পালন-বিধি নির্দিষ্ট হইয়া থাকে, আমার মনে হয় ভক্তের পক্ষে তাহ অপেক্ষ স্বন্দর বিধি আর কিছু হইতে পারে না। তথাপি সেই নিত্য বর্ষকৃত্য ছাড়াও এমন একটা নৈমিত্তিক উপলক্ষ্য স্বষ্টি করিয়া মহোৎসবের অনুষ্ঠান নানা দিক দিয়া প্রয়োজনীয় বোধ হইতে পারে। মহাপুরুষের মহিমাকীৰ্ত্তন ও নাম-প্রচারের সুযোগ যতই পাওয়া যায় ততই ভাল, এবং এইরূপ বৃহত্তর অনুষ্ঠানে উৎসাহ সঞ্চার অধিক মাত্রায় হওয়াই স্বাভাবিক—সেই অবকাশে কিছু ভাল কাজ করিয়া লওয়াও সম্ভব । এ যুক্তি মানি । তথাপি আর এক কারণে মন সায় দেয় না। ইহার মধ্যে যেন একটা ক্ষুদ্র ব্যবসায়-বুদ্ধি, হাট-বাজারের বিজ্ঞাপন-নীতি, আধুনিক মনের শ্রদ্ধাহীনতা রহিয়াছে। ক্ষুদ্র কালের শতাব্দীগণনায় কেবল ইতিহাসগত হইয়া থাকিবার মত যে নয়, মহামন্বন্তরের তরঙ্গচূড়ায় যাহার আবির্ভাব—যুগ-চিহ্নিত কালের উপরে যে চরণ রাখিয়াছে মাত্র, কাল যাহার বাণী-বিগ্রহ গর্ভে ধারণ করিয়াছে, এখনও প্রসব করে নাই—বুদ্ধকে প্রসব করিতে তিন শত বৎসর লাগিয়াছিল, খ্ৰীষ্টকেও ততোধিক—সেই মহাপুরুষের শতবার্ষিকীর অর্থ কি ? আমাদের সংস্কার অনুসারে তিনি আসিয়াছিলেন, তিনি ভূতকালের অধিবাসী ; তাহার আসা যে এখনও শেষ হয় নাই, কেবল আরম্ভ