I saw his marvellous purity... I felt his wonderful love.... His greatness had not dawned on me then. The Master as I saw Him. P. 214.
—‘I felt his wonderful love’—ইহাই আসল কথা। গুরুর নিকটে ইহাই তাঁহার প্রথম ও প্রধান দীক্ষালাভ।
দ্বিতীয় প্রসঙ্গ—বিবেকানন্দ
১
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতেই ভাবপ্রবণ বাঙালীর চিত্তে পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞান উগ্র মদিরার মত সঞ্চারিত হইতেছিল, এবং ক্রমশ উহার বিষক্রিয়াই প্রবল হইয়া উঠিল। আশ্চর্য্যের বিষয়, শতাব্দীর শেষে, যখন সেই বিষের প্রভাব প্রায় চরমে উঠিয়াছে, তখন এক বাঙালী সন্তানের অপরিমেয় প্রাণশক্তি ও সর্ব্বগ্রাসী মনীষা তাহাকে হজম করিয়া, সেই বিধর্ম্মের বিষকে স্বধর্ম্মের রসায়নে শোধন করিয়া সঞ্জীবনী সুধারসে পরিণত করিল—বিবেকানন্দের জীবনে সেই শক্তির স্ফুরণ হইল কেমন করিয়া তাহাই আমরা এখানে প্রত্যক্ষ করিতেছি। বুদ্ধিমান বিজেতা জাতির বিষয়-জ্ঞান ও কূটনীতির সাফল্যদর্শনে যে পরধর্ম্মপ্রীতি, ও তৎসহ নবলব্ধ বিদ্যার যে অভিমান, তাহাই বাঙালীকে আত্মভ্রষ্ট করিতেছিল, এবং স্বাধীন যুক্তিবাদ বা বিবেকের ছদ্মবেশে যে অতিশয় স্বার্থপর অথচ সুকল্পিত ব্যক্তি-ধর্ম্ম সমাজে এক ভয়াবহ আদর্শকে উদ্ধত করিয়া তুলিতেছিল— বিবেকানন্দও প্রথম বয়সে সেই আদর্শে আকৃষ্ট হইয়াছিলেন। ইহাও বিশ্বাস করি যে, শেষ পর্য্যন্ত তিনিও বিজয়কৃষ্ণের মত এই ঘূর্ণাবর্ত্ত হইতে