পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》는 • বিবিধ কথা as I samp Him. P. 215)–যেন শ্রীরামকৃষ্ণ নিজের সমস্ত শক্তি শিষ্যের ভিতরে ঢালিয়া দিয়াছিলেন—এ যেন একরূপ পরকায়-প্রবেশ’ ! শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যু-সময়ে আমরা এইরূপ একটি ঘটনার কথা শুনিয়া থাকি—“আমি আমার সব তোমাকে দিলাম, আমি নিঃস্ব হইলাম” বলিয়া মহাপুরুষ কাদিয়া ফেলিয়াছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের জীবনে, র্তাহার সেই উদ্দাম অগ্নিবেগের অস্তরালে যে একটি বন্ধন-পীড়ার আভাস রারবার পাওয়া যায় ভগিনী নিবেদিতাও তাহ লক্ষ্য করিয়াছেন । তাহার গ্রন্থের এক স্থানে তিনি বলিতেছেন— It seemed almost as it were by some antagonistic power, that he was "bowled along from place to place being broken the while', to use his own graphic phrase. “Oh, I know I have wandered over the whole earth”, he cried once, “but in India I have looked for nothing, save the cave in which to meditate ! “রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ”-কাহিনীর এক্ট প্রসঙ্গে আমার বক্তব্যের কথা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি। বিবেকানন্দের প্রকৃতি যে তাহার গুরু হইতে ভিন্ন তাহা সত্য, কিন্তু আরও সত্য এই যে, এই ভেদ সত্ত্বেও, তিনি গুরুরই বহুত স্বীকার করিয়াছিলেন—তিনি যে মহাব্রত গ্রহণ করিয়াছিলেন তাহা গুরুরই আদেশে, এবং শেষ পর্য্যন্ত গুরুই যেন তাহাকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছিলেন । নরেন্দ্র দত্তের যাহা কিছু তাহ যেন ত্রীরামকৃষ্ণের দ্বারা আচ্ছন্ন হইয়াই জগতের সমক্ষে বিবেকানন্দরূপে আত্মপ্রকাশ করিয়াছিল। কারণ বিবেকানন্দ নামক যে মহাপুরুষের সাক্ষাৎ পরিচয় আমরা জগৎবাসী পাইয়াছি, তাহাতে পরমহংসদেব হইতে বিশিষ্ট একটি