পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b" বিবিধ কথাס\ צ খুজিতেছি—একটা পাওয়া যায় না ?” বেলা পড়িয়া আসিলে বাহিরের ছাদে ফরাশ পাতিয়া বৈঠক বসিল, আরও দুই-চারিজন আসিলেন। একটি তাকিয়ায় ঠেস দিয়া শরৎচন্দ্র গল্প করিতে লাগিলেন। সাহিত্যের আলোচনা চলিল। ‘সবুজ পত্রে সদ্যপ্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের একটি গল্প—শেষের রাত্রি সম্বন্ধে মণিলালবাবুর সঙ্গে তাহার মতভেদ হইল, তিনি ওই গল্পের নায়িকার চরিত্র কিছুতেই স্বাভাবিক বলিয়া স্বীকার করিলেন না ; বাঙালীর মেয়ে ঐ বয়সেও এরূপ হৃদয়হীন হইতে পারে না, ইহা তিনি জোর করিয়া বলিলেন—উহাতে বিশুদ্ধ ভাব-কল্পনার আর্ট যতই থাকুক, জীবনের সত্য নাই। আমি এই মন্তব্যের মধ্যে শরৎচন্দ্রের সাহিত্য-প্রেরণার বৈশিষ্ট্য অতিশয় কৌতুহল সহকারে লক্ষ্য করিলাম। গল্প চলিতেছে, এমন সময় একটা মহাবিভ্ৰাট ঘটিয়া গেল । বাড়ির ভিতরকার উঠান হইতে সিড়ি দিয়া উপরে উঠিয়া ঐ ছাদে আসিবার পথটি বড়ই সঙ্কীর্ণ ; সরু বারান্দা, তাহাতে রেলিং নাই— সাবধানে চলিতে হয় ; তখন একটু অন্ধকার হইয়াছে, সেই অন্ধকারে সেইখান হইতে একটা আতঙ্কের আর্তনাদ শোনা গেল। এক ব্যক্তি সেই পথ দিয়া আসিবার কালে অস্পষ্ট আলোকে হঠাৎ একটি জন্তুর দ্বারা আক্রান্ত হইয়া প্রায় নীচে পড়িয়া যাইতে যাইতে কোনক্রমে বাচিয়া গিয়াছে। জন্তুটি আর কেহ নয়, শরৎচন্দ্রের সেই কুকুর—সে সহসা সেই সঙ্কীর্ণ অন্ধকার পথে আবিভূত হইয়া, দুই পায়ের উপরে দাড়াইয়া, আগন্তুককে অপর দুই পায়ের দ্বারা আলিঙ্গন করিতে চাহিয়াছিল—তাহাতেই এই বিভ্ৰাট । শরৎচন্দ্র ক্রোধভরে ( ক্রোধটা নিশ্চয়ই সেই ব্যক্তির উপরে ) কুকুরকে একটি চপেটাঘাত করিলেন, সে দুরে এক কোণে মানমুখে বসিয়া রহিল। শরৎচন্দ্রও তারপর একেৰারে