পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ কথা אף צ কবি-প্রতিভার সম্পর্কে একটি উপমা আমার প্রায়ই মনে পড়ে। হিমালয়ের একটা অংশ আমাদের দেশের সীমানাভুক্ত হইয়া আছে—সমগ্র উত্তর-ভারতের সঙ্গে আমরা এই যে একটি মহাসম্পদের শরিক হইয়। আছি—তাহাতে আমাদের ভাগে পড়িয়াছে হিমালয়ের বক্ষশোভী অসীম সৌন্দৰ্য্যময় কাঞ্চনগিরি—কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপের তুলনা নাই, বায়ুমণ্ডলচারিণী অপ্সরাগণ আলো ও আঁধারের ইন্দ্রজালে ইহাকে নিরস্তর যে নব নব বর্ণবৈভবে বিচিত্রিত করিয়া থাকে, তাহ। অনিৰ্ব্বচনীয় । আমাদের সাহিত্যে ভারতীয় প্রতিভার যে হিমাদ্রিমালা প্রকাশ পাইয়াছে, রবীন্দ্র-প্রতিভা তাহার কাঞ্চনজঙ্ঘা ; প্রভাতে মধ্যাহ্নে সন্ধ্যায় তাহার যে সৌন্দৰ্য্যবিকাশ আমরা দেখিয়াছি, বাস্তবের সমতলভূমির উপরে প্রসারিত করিয়া তাহার আদি-অন্ত নিরূপণ করা দুঃসাধ্য— অতি দূর আকাশের পটে অন্সর-নিষেবিত অমরাপুরীর মতই তাহ। জামাদের নিত্য-বিস্ময় হইয়া আছে। রবীন্দ্র-প্রতিভার কোনও একটি দিক লইয়া পৃথকভাবে বিচার করিতে গেলে সংশয়-বিমূঢ়তা যেমন অবশুম্ভাবী, তেমনই সাধারণ কবি-চরিত্র ও কবিকীৰ্ত্তির মানদণ্ডে তাহার সমগ্রতা প্রমাণ করিতে যাওয়াও নিরাপদ নহে। অনস্তরত্নপ্রভব এই প্রতিভার মূলে যে চিৎশক্তির ক্রিয় রহিয়াছে, তাহা বিশ্লেষণ করিয়া দেখিতে গেলে কবিকে হারাইতে হয় ; আবার সেই প্রতিভার বিচিত্র স্বষ্টির আরণ্য প্রাচুর্য্যের মধ্যে । কোনও স্থল সুস্পষ্ট পথরেখাকে ধরিয়া চলিবার চেষ্টা করিলে, প্রত্যেক তরু ও লতার বৈশিষ্ট্যরসে বঞ্চিত হইতে হয়। অনেকে রবীন্দ্রনাথের অফুরন্ত স্বষ্টিলীলার মধ্যে একটি কালক্রমিক বিকাশ বা বিবৰ্ত্তনধারা লক্ষ্য করিয়াছেন ; এমন একটা নিয়ম আবিষ্কার করা অসম্ভব বা