পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবি-প্রদক্ষিণ »ዓ¢ সম্পূর্ণ বলিয়া মনে হইবে ; গীতিপ্রেরণা ও কাশ্যপ্রেরণাকে একই ধারায় মিলাইতে গিয়া কোনরূপ সূক্ষ্ম দার্শনিক তত্ত্ববাদের শরণাপন্ন হইতে হইবে না। রবীন্দ্রনাথের কবিজীবনের পূৰ্ব্বাৰ্দ্ধ ভাগে যে কাব্যস্থষ্টির প্রেরণা লক্ষ্য করা যায়, তাহা আত্মভাবগত আনন্দ-মুক্তির প্রেরণা নহে। তখন জীবনের সহিত, জগতের সহিত, বিশেষ বা concrete-এর সহিত, সাক্ষাৎ-পরিচয়ের বিস্ময় তাহাকে আকুল করিয়াছিল ; তখনও খণ্ডের মধ্যে অখণ্ডকে উপলব্ধি করিবার আগ্রহ প্রবল হইলেও, রবীন্দ্রনাথ সেই খণ্ডের মোহকে স্বীকার করিয়াছিলেন । তাই তাহার কাব্যে, মানুষের জীবন এবং মানবহৃদয়জগৎ, বহিঃপ্রকৃতির সহিত যুক্ত হইয়া, দেশকালের ইতিহাসের মধ্যেই একটি স্বপরিস্ফুট মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছিল। এই কালে রবীন্দ্রনাথ যাহা স্বষ্টি করিয়াছেন তাহার ভাষা ভাব ও ছন্দ অঙ্গাঙ্গী হইয়া আছে, কোনও অঙ্গ অপর অঙ্গকে খৰ্ব্ব করে নাই ; এই জন্য এই স্বষ্টি যথার্থ স্বষ্টি হইয়া উঠিয়াছে—ভাব ভাষাকে, কিংবা ভাষা রূপকে অতিক্রম করে নাই। রূপজগৎ ও ভাবজগতের মধ্যে কত অতর্কিত অভাবনীয় মিলন ঘটিয়াছে—ভাষার কি ঐশ্বৰ্য্য ! ছন্দের কি বিচিত্র কলরোল ! এই কালে কবিচিত্ত, ভাবপ্রধান হইলেও, রূপের বশীভূত হইয়াছে—জীবনের সুখদুঃখ ও প্রকৃতির রহস্যময় কটাক্ষসঙ্কেত রবীন্দ্রনাথের কবি-প্রাণ আলোড়িত করিয়াছে ; এ পর্য্যন্ত র্তাহার কবিপ্রতিভা জীবনেরই ধ্যান করিয়াছে। আমরাও সেই কাব্যজগতে জীবনকে দেখিলাম জীবনেরই মধ্যে দাড়াইয়া। অতি ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ যাহা, যাহাকে আমরা ভাল করিয়া কখনও দেখি নাই, শ্রদ্ধা করি নাই—তাহাই এক অপূৰ্ব্ব মহিমায় মণ্ডিত হইয়া দেখা দিল; যাহা ক্ষণিক তাহার মধ্যে