পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবি-প্রদক্ষিণ qq করিয়াছেন, তাহারই লীলার পোষকতা ভিন্ন নিজের পৃথক আত্মপ্রসাদ যেন তাহাতে নাই । ‘জীবনদেবতা’ নামে এই যে এক অধিষ্ঠাত্রী দেবতার কল্পনা করিয়া এককালে তিনি আশ্বস্ত হইতে চাহিয়াছিলেন, তাহার কারণ, ইহাই বলিয়া মনে হয় ; রূপরসসাধনার মধ্যেও তাহার চিত্তে একটি গভীর বৈরাগ্য প্রচ্ছন্ন ছিল। ইহার পরে তাহার সেই বন্ধন ঘুচিয়াছে ; বিশেষকে ছাড়িয়। নির্বিশেষের যে আনন্দ-মুক্তি, কবি অতঃপর তাহারই সাধনা করিয়াছেন। এ অবস্থা এতই বিপরীত যে, ইহার সহিত পূৰ্ব্বের সেই সাধনরীতি মিলিবে না । কবি যেন এক পার হইতে অন্ত পারে গিয়া উঠিয়াছেন ; এপার হইতে যেমনটি দেখিতেন ওপার হইতে আর তেমনটি দেখেন না। কবিদূষ্টির এই প্রভেদ এত বড় প্রভেদ যে, ইহাকে কবির ব্যক্তিমানসের একটি পরিণতি-অবস্থা বলিয়া স্বীকার করিলেও, র্তাহার কবিস্বপ্নে যে রূপান্তর ঘটিয়াছে, তাহাতে সন্দেহ নাই। কবি নিজেও এ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ আত্মসচেতন–র্তাহার খেয়া কাব্যথানির নামই এই তটপরিবর্তন ঘোষণা করিতেছে। খেয়া’র পর হইতেই কবি গীতি-বিবশ হইয়াছেন, জগৎ ও জীবন দূর পরপারের তটরেখার মত ছায়াময় হইয়া উঠিয়াছে—“চোখের জল ফেলতে হাসি পায়” । কবির ইষ্টদেবতা এখন আর জীবনদেবতা নয়, তিনি আর রহস্যময় নহেন ; কবি ও তাহার সেই দেবতার মধ্যে জগৎদৃশ্বের অন্তরালখানি ঘুচিয়াছে, সকল সীমাকে তিনি অসীমায় যুক্ত করিয়াছেন । এইখানেই আমরা কবিজীবনের পূৰ্ব্বাদ্ধ ভাগের পূর্ণচ্ছেদ দেখিতে পাই । ইহার পর রবীন্দ্রনাথ এখনও রূপসাগরে ডুব দিতেছেন বটে, কিন্তু সে অরূপ রতনের আশায়। এখন কবির কাব্যকল্পনা ক্ষান্ত হইয়াছে—এ যুগ ఇ