পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রবি-প্রদক্ষিণ
১৮১

ওগো নটী, চঞ্চল অপ্সরী,
অলক্ষ্য সুন্দরী,
তব নৃত্য-মন্দাকিনী নিত্য ঝরি’ ঝরি’
তুলিতেছে শুচি করি’
মৃত্যুস্নানে বিশ্বের জীবন।

* *

ওরে দেখ, সেই স্রোত হ’য়েছে মুখর,
তরণী কাঁপিছে থরথর।
তীরের সঞ্চয় তোর প’ড়ে থাক তীরে,
তাকাসনে ফিরে!
সম্মুখের বাণী
নিক্‌ তোরে টানি’
মহাস্রোতে
পশ্চাতের কোলাহল হ’তে
অতল আঁধারে—অকূল আলোতে।

 বিশ্বপ্রকৃতির অন্তস্থলে যে সর্ব্বভাবনাবিরহিত সর্ব্বসংস্কারমুক্ত প্রাণধারা প্রবাহিত হইতেছে, তিনি এক্ষণে তাহাতেই স্নান করিয়া সর্ব্বভাবনামুক্ত হইয়াছেন—যে জন্মমৃত্যুস্রোত নিরুদ্দেশ মহাকাল-সাগরে বহিয়া চলিয়াছে, তাহারই নিরবচ্ছিন্ন গতিবেগের জয়-শঙ্খ বাজাইয়াছেন। সুখদুঃখ মিথ্যা, মিলন-বিচ্ছেদের হাসি ও অশ্রু দুইই সমান। ‘যেতে নাহি দিব’—প্রেমের এই যে আর্ত্ত চীৎকার ইহার মত ব্যামোহ আর নাই। ক্ষণ-সৃষ্টি ও ক্ষণ-ধ্বংসের তরঙ্গলীলাই মহাজীবনের লীলা; অতীতের মায়া নাই, ভবিষ্যতের ভয় নাই; গতি আছে, কোনও ধ্রুবস্থির