পাতা:বিবিধ কথা.djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃত্যু-দর্শন s o> অলক্ষিতে তাহার প্রভাব ক্রমশ ভিতর হইতে বাহিরে প্রকট হইয়! পড়ে । কিন্তু এমন ভাবে আমরা মৃত্যুকে সচরাচর অপরোক্ষ করি না— পর এমন আত্মীয় হয় কদাচিৎ। অতি বড় শোকও যে কালে আরোগ্য হয়—আমরা যে সাস্বনা খুজি এবং পাই, তাহার কারণ, মৃত্যুর স্বরূপ উপলব্ধি আমরা করি না, মৃত্যু যে কি তাহা ভাবিতেও ভয় পাই ; যে মুরিয়াছে তাহাকে বিস্মৃত হইবার প্রাণপণ চেষ্টা করি—বাচিতে চাই । স্ত্রী-বিয়োগে, সন্তান-বিয়োগে, বন্ধু-বিয়োগে আমরা যে ব্যথা পাই, তাহ। মৃত্যু-চেতনা নয়—জীবনেরই একটা দুঃখবোধ—সুখভোগে একটা বাধার মত। কিন্তু মৃত্যুকে স্বতন্ত্রভাবে দেখিবার অবকাশ যদি কখনও ঘটে, তবে জীবনের যত কিছু সংস্কার মুহূর্তে উড়িয়া যায়—শোক ও সাত্বনা দুইই অনর্থক বলিয়া মনে হয়। সে অবস্থায়—যাহাদের হৃদয়বৃত্তি অতি গভীর ও প্রবল, তাহারা প্রিয়জনের মৃত্যুতে তৎক্ষণাৎ নিজেও মরিয়া যায় ; এমন যুগপৎ মৃত্যুর দৃষ্টান্ত বিরল নহে—‘মৃতে ম্ৰিয়তে যা বলিয়া যে প্রেমিকার বর্ণনা আমরা পাঠ করি, তাহা মিথ্যা নয়। যাহাদের জ্ঞানবৃত্তি প্রবল, তাহারা—শুন্তবাদী, নাস্তিক বা বৈদাস্তিক মনোবৃত্তির অনুশীলন করিয়া, কাঠ-পাথরের মত হইয়া—আত্মপ্রসাদ লাভ করে ; মৃত্যুকেই মোক্ষ বলিয়া বুঝে, কেবল তৎপূৰ্ব্বে অবশিষ্ট জীবনটা কোনও রূপে অতিবাহিত করিবার জন্য কূটতর্কের জালে তাহাকে আবৃত করে। যাহাদের কৰ্ম্ম-প্রবৃত্তি প্রবল, তাহারা মৃত্যুকে স্বীকার করিয়াও জীবনের সুযোগটা উত্তমরূপে ভোগ করিতে চায় ; সত্যকার শক্তিমান নাস্তিক তাহারাই—জীবনের মদিরাপাত্র আকণ্ঠ পান করিয়া কীৰ্ত্তির নেশায় মশগুল থাকে ; মুহূর্তের জন্যও চিন্তা করে না—শেষ কোথায় ? ইহারাই