পাতা:বিবিধ কথা.djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

る○ বিবিধ কথা এখানে সবিস্তারে বর্ণনা করিব না—জাতির পক্ষে তাহা গ্লানিকর, ভাগ্যদেবতার পরিহাসরূপে তাহা অসহ বেদনাময় । একটু চক্ষু মেলিয়া চাহিলেই দেখা যাইবে, জাতির আত্মবিনাশ-যজ্ঞের সেই অগ্নি এখনও দিগন্ত জুড়িয়া জলিতেছে। আজ আমরা জাতীয়তার নামে শিহরিয়া উঠি ; মানবজাতির ইতিহাসে যাহা অতুলনীয়, সেই হিন্দু-সংস্কৃতির উল্লেখ করিতেও আমাদের রসনা অবশ হইয়া উঠে। ইহার কারণ এই নয় যে, আমরা এক্ষণে আরও বড় সংস্কৃতি লাভ করিয়াছি—আমাদের প্রাণে-মনে কোন উদারতর উপলব্ধি ঘটিয়াছে। ইহার এক মাত্র কারণ, আমাদের মনুষ্যত্ব আর বঁাচিয়া নাই, আমাদের চরম অধঃপতন হইয়াছে। বঙ্কিমচন্দ্র এ জাতির চরিত্রে যে কদৰ্য্য স্বার্থপরতা দেখিয়া শঙ্কিত, এমন কি হতাশ হইয়াছিলেন, তাহাই আজ নূতন জ্ঞান-বিজ্ঞান ও কালচারের অনুমোদন পাইয়া নির্লজ্জ তাগুবে মাতিয়া উঠিয়াছে। বড় কথাকে আমরা সাগ্রহে শিরোধাৰ্য্য করিয়াছি, পাছে ছোট কথার অপরিসর গণ্ডিতে আত্মমুখচর্চার ব্যাঘাত হয়। আজ বাঙালীর বিদ্যাসাগর নাই, বঙ্কিমচন্দ্র নাই, বিবেকানন্দ নাই ; শিবা ও সারমেয় বেষ্টিত কয়েকটা শশ্নান-প্রহরী মাত্র আছে। অপেক্ষাকৃত আধুনিক ইতিহাসে আমাদের নবজীবনলাভের প্রয়াস ও তাহার নিফলতার কাহিনী সংক্ষেপে আপনাদিগকে শুনাইলাম। ইহা অবশ্য ঘটনা বা তথ্যগত ইতিহাস নয় ; কিন্তু জাতির চারিত্রিক কোষ্ঠীবিচারে যে গুরু-বল ও শনির দৃষ্টি—উভয়ের ফলাফল দেখা যায়, আমি সাধ্যমত তাহাই বিচার করিবার চেষ্টা করিয়াছি— ঘটনাগত ফলাফল আপনারা মিলাইয়া দেখিবেন । আপনারা যেরূপ সাহিত্য-সেবায় ব্যাপৃত আছেন, তাহার সহিত জাতির এই