Pontius Pilate যে প্রশ্ন করিয়াছিল—What is Truth? এবং উত্তরের অপেক্ষাও করে নাই—সেই Truth-এর সন্ধান মানুষের একটা মানসিক ব্যাধি মাত্র। মানুষ যে সমস্যার সমাধান করিতে চায়, সে সমস্যার উদ্ভব হইয়াছে তাহার জীবধর্ম্মের ব্যতিক্রমে; সেই জন্যই জীবনের আলো মৃত্যুর ছায়ায় অন্ধকার হইয়া উঠিয়াছে।
অতএব মানুষের পক্ষে যদি কোনও সত্য-সমস্যা থাকে, তবে সে প্রকৃতির অনুযায়ী জীবনযাপনের সমস্যা। এই জীবনের আদি-অন্ত রহস্যময়। দূর হইতে এই রহস্য চিন্তা করিবার নয়—এই রহস্যের মধ্যে ঝাঁপ দিয়া নিজেও রহস্যময় হইতে হইবে। সত্য এক নহে, বহু—এ জন্য সকলই সত্য, এবং সকলই মিথ্যা। যেখানে জীবনের স্ফূর্ত্তি, সেইখানেই সত্য। এই স্ফূর্ত্তির কি কোনও নিয়ম আছে? এই বৈচিত্র্যকে ঐক্যসূত্রে বাঁধিবে কে? এই ক্ষণ-সত্যের আদর্শ নির্ণয় করিবে কে? গতি ও প্রবাহই যাহার নিয়ম, মৃত্যুময় জীবনপ্রাচুর্য্যই যাহার ধর্ম্ম—ভূত-ভবিষ্যৎ-বর্ত্তমান, স্বপ্ন-জাগরণ, স্মৃতি বা বিস্মৃতি যাহার অঙ্গে এতটুকু চিহ্ন রাখে না, তাহার আবার সত্য কি? কোন্ মাপকাঠিতে তাহাকে মাপিবে? ইহার অর্থ করিতে গেলেই—প্রহেলিকা; তত্ত্ব সন্ধান করিলেই—শূন্যবাদ। তাই যাহারা জীবনধর্ম্ম পালন করে, কোনরূপ সত্য-জিজ্ঞাসার মতিভ্রমে যাহারা পড়ে নাই, তাহারাই সত্য পালন করিয়াছে, অজ্ঞানে জ্ঞানীর কাজ করিয়াছে।
সত্য কি,—প্রাণকে জিজ্ঞাসা কর, বুঝিতে পারিবে। নিজের মধ্যে যে শক্তি যেটুকু আছে, সেই শক্তিটুকুই সত্য; তাহার প্রেরণায় যে জীবধর্ম্ম তোমার পক্ষে স্বাভাবিক, তাহাই সত্য। যে সংস্কার তোমার প্রাণে বদ্ধমূল, তাহাই তোমার স্বধর্ম্ম; আবার যে সংস্কার তোমার