পাতা:বিবিধ কথা.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতি-আধুনিক সমালোচক ও বঙ্কিমচন্দ্র ףס পারেন না। রসবোধ বা উচ্চাঙ্গের সাহিত্য-জ্ঞান সকলের কাছে জাশা করাই অসঙ্গত ; কিন্তু প্রাকৃত রুচি ও অশিক্ষিত মনোবৃত্তি যদি শিক্ষিত সমাজেও প্রশ্রয় পায়, তবে সৰ্ব্ববিধ সাহিত্যিক আলোচনাই নিষ্ফল । আধুনিকত্বের ধ্বজাধারী নব্য রসিকসম্প্রদায় যে রুচি ও রসবোধকে সদম্ভে প্রচার করিতেছেন, তাহার বিরুদ্ধে কিছু বলিয়া লাভ নাই ; কারণ যাহা নিতান্তই সাময়িক, এবং সেই হেতু বহুব্যাপ্ত, তাহাকে লইয়া বিচার চলে না। কিন্তু আধুনিককে ছাড়িয়া, প্রাচীনতর ও স্বপ্রতিষ্ঠিত ষে সাহিত্যকীৰ্ত্তি, কালের নিকষে যাহার মূল্য একরূপ নিৰ্দ্ধারিত হইয়া গিয়াছে ; তিন চার পুরুষ ধরিয়া যাহার রস-সংবেদন বহু-রসিক-চিত্তে গভীরভাবে সাড়া জাগাইয়াছে—আধুনিক বাংলা সাহিত্যের আদি ও শ্রেষ্ঠ প্রতিভারূপে র্যাহার আসন আজিও সকল সাহিত্যরসিক ও সাহিত্যজ্ঞানী বাঙালীর হৃদয়ে অটল হইয়া আছে, তাহার স্বল্প সাহিত্যসম্বন্ধে, এ কালের বড় হইতে ছোট সকলের মুখে এই যে সকল কথা নিবিববাদে প্রচারিত হইতেছে, ইহার কারণ অনেক হইতে পারে ; কিন্তু যে একটা কারণ সুস্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে, তাহাতেশিক্ষিত বাঙালীর সম্বন্ধে লজ্জিত হইতে হয় । ব্যক্তিগত রুচি বা রসবোধ লইয়৷ বিবাদ করা চলে না—বঙ্কিমচন্দ্রের কাব্যে যে রস আছে, তাহা আধুনিক মনোধৰ্ম্ম বা জৈব-প্রবৃত্তির অমুকুল না হইতে পারে— ৰেখানে ধৰ্ম্মগত বিরোধ আছে, সেখানে রসবিচার অবাস্তুর । কিন্তু এইরূপ মনোধৰ্ম্ম ও ব্যক্তিগত সংস্কার, বা বিশেষ প্রবৃত্তির বশবর্তী হইয়া ৰাহার। সাহিত্যের সাৰ্ব্বভৌমিক আদর্শকে অস্বীকার করে, এবং সাহিত্যসমালোচনা বা রসবিচারের মূল নীতি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অঙ্গ হইয়াও যুক্তি-তর্কের আস্ফালন করে, তাহারাই যদি বাঙালী শিক্ষিত-সমাজের