পাতা:বিবিধ কথা.djvu/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতি-আধুনিক সমালোচক ও বঙ্কিমচন্দ্র 8> অতুগত করিয়া, বাস্তব-জ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত করিবার অধিকারও কবিরই আছে । সেই যাদুশক্তিকেই কবিপ্রতিভা বলে । পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, তত্বের দিক দিয়া যেমন, তেমনই কাব্যরসের দিক দিয়াও বাস্তব বলিয়া কিছু নাই, কারণ, ‘বাস্তব একটা ব্যবহারিক প্রাকৃত সংস্কার মাত্র । বস্তুকে কেহ দেখে নাই ; সেই জন্য কাব্যসাহিত্যও বাস্তবতার দাবি করে ন!—বরং বস্তুর অন্তরালে যে পরম রহস্যময় সভা আছে তাহারই রূপ, নানা ইঙ্গিতে ও ভঙ্গিতে আমাদের রসচেতনার গোচর করিতে চায়—জ্ঞানচেতনার নহে। এই জন্তই প্রত্যেক রসস্থষ্টি মৌলিক ও স্বতন্ত্র, প্রত্যেকটির একটা নিজস্ব ভাব-সঙ্গতি আছে—সেই সঙ্গতিই তাহার বাস্তবতার প্রাণ। এই সঙ্গতি-রক্ষণ যদি কোনও কাব্যে না হইয়া থাকে, তবে কবি-প্রেরণা সত্য ও সার্থক হয় নাই বুঝিতে হইবে । আধুনিক সাহিত্যে যে বাস্তবতার জয়ঘোষণা হইয়া থাকে, তাহ রস-বস্তুর বাস্তবতা নয়—উপাদানের বাস্তবতা মাত্র । সেই বাস্তবতার বিরুদ্ধে রসিকের কোনও নালিশ নাই ; কিন্তু সেই সকল রচনা যদি সার্থক রসসৃষ্টির দাবি করে, তবে সেই উপাদানবস্তু সত্বেও তাহাকে রস-পদবীতে উত্তীর্ণ হইতে হইবে, নতুবা বাস্তবতার দোহাই দিয়াই তাহা কাব্যপদবাচ্য হইবে না। অতএব কবি-কল্পনার আশ্রয় যাহাই হউক, সেই উপাদান-বৈচিত্র্য রসরূপেরই বৈচিত্র্য বিধান করে—কেবল বাস্তবতার দাবিতেই কোনও রচনা উৎকৃষ্ট রসস্থষ্টি বলিয়া গণ্য হইতে পারে না । জীবনের এমন কোনও দিক নাই—এমন কোনও বিষয় নাই, যাহা কবিকল্পনার অধিগম্য নহে । সকল কাব্যস্থষ্টির মত উপন্যাসেও বাস্তব-অবাস্তব ভেদ নাই—জীবন ও জগতের একটা রসরূপ উদ্ভাবন করাই তাহার মূলীভূত প্রেরণা। বরং,