পাতা:বিবিধ কথা.djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতি-আধুনিক সমালোচক ও বঙ্কিমচন্দ্র Q○ ‘ক্যালিবানের মত অনাস্থষ্টিও অপূৰ্ব্ব স্বষ্টি হইয়া উঠিয়াছে। বাস্তবতার সাধারণ প্রাকৃত মাপকাঠি দিয়া বিচার করিলে এ সকল গাজাখুন্সির সমর্থন করিবে কে ? তাই বলিয়। শেক্সপীয়র কি জগৎ ও জীবন— মামুষের চরিত্র বা হৃদয়রহস্যকে তাহার সমগ্র বাস্তবতায় মণ্ডিত করিতে পারেন নাই ? এই বাস্তবতার প্রমাণ অন্যরূপ। মানুষের মধ্যে যে সহজ মনুষ্যত্ব আছে, তাহারই গভীরতর চেতন রসিকের রস-বোধের মধ্যে জাগ্রত হইয়া থাকে ; জগতের যাহা-কিছু তাহার বাস্তব-স্বরূপ— তাহা এইরূপ গভীরতর চেতনার সহণয়ে রসিকের হৃদয়গোচর হয়, সেখানে ফাকি চলে না। যাহা অবাস্তব, তাহ সেই চেতনার প্রবেশ-দুয়ারে বাধা পায়। কবির স্বষ্টি যেমন সমগ্র-দৃষ্টির ফল, তেমনই কাব্যরস-আস্বাদনে রসিকেরও সেই সমগ্র-দৃষ্টি আবশ্বক। এই রসদৃষ্টি লাভ করিতে হইলে, অর্থাৎ যথার্থ রসিক হইতে হইলে, 'genuine being’ হইতে হইবে। খণ্ড ক্ষুদ্র সঙ্কীর্ণ সংস্কার বা কতকগুলা অসংলগ্ন চিন্তাপ্রস্থত মতবাদের দর্পণে এই বাস্তব-রূপ প্রতিবিম্বিত হয় না। এইরূপ অবাস্তবতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমাদের জাতীয় মহাকবি, মহানাট্যকার গিরিশচক্সের নাটকগুলিতে প্রায়শই দৃষ্টিগোচর হয়। মানব-জীবন বা চরিত্রের যে রূপ র্তাহার নাটকে চিত্রিত হইয়া থাকে, তাহাকে অতিচারী কল্পনার মহামহোৎসব বলা যাইতে পারে । ‘প্রফুল্প’-নাটক বাঙালী রসিক-সমাজের বড়ই প্রিয় ; কিন্তু এই নাটকের অভিনয় দেখিবার কালে যে মামুষের অন্তরতম মনুষ্যত্ব বিদ্রোহী না হয়, সে খাটি বাঙালী হইতে পারে, কিন্তু খাটি মানুষ নয়। মানুষকে স্ব এবং কু-রূপে চিত্রিত করিতে গিয়া এই ভাবাতিরেকগ্রস্ত নাট্যকার যে আতিশয্যকে অভিনয়-সাফল্যের একমাত্র উপায় করিয়া, মামুযের মন্থস্বত্বকে ষে ভাবে