পাতা:বিবিধ কথা.djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামমোহন রায় Գ> হইলে, যে কল্পনা-শক্তির প্রয়োজন তাহার তাহ ছিল না । তত্ত্বকে নিজ জীবনে তিনি যে ভাবে গ্রহণ করিয়াছিলেন তাহাতেও, তাহার যে লোকগুরু হইবার কামনা ছিল, এমন মনে হয় না। বৃথাই আমরা র্তাহাকে লইয়া টানাটানি করিতেছি । রামমোহনের মৃত্যুর পর আজ এক শত বৎসর অতীত হইয়াছে। এই কালের মধ্যে আমাদের জাতীয় জীবন নানা অবস্থার বশে, ও নানা ব্যক্তির সাধনার ফলে, একটা বিশেষ স্থানে আসিয়া পৌছিয়াছে। গত ত্রিশ বৎসর ধরিয়া সমাজে রাষ্ট্রে ও নৈতিক জীবনে একটা অস্থিরতা প্রবল হইয়া উঠিয়াছে। কোনও একটা সুনির্দিষ্ট আদর্শে আমরা এখনও পৌছিতে পারি নাই। হয়তে অদূরভবিষ্যতে আমাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট যে ভাবে নিবারণ হইবে, তাহা হইতেই একটা আদর্শ স্থির হইয়া যাইবে, সমাজ-জীবন সেই ভাবেই পুনর্গঠিত হইবে। তথাপি সে আদর্শ যে জাতীয়তার উপরেই প্রতিষ্ঠিত হইবে, এ অনুমান আজিকার দিনেও অসঙ্গত নয়। সমাজ যেমন আকারই ধারণ করুক, রঘুনন্দনের অষ্টবিংশতি তত্ত্ব যে ভাবেই পরিবর্তিত হউক—জাতিকে তাহার স্বধৰ্ম্মের উপরেই আত্মপ্রতিষ্ঠা করিতে হইবে। এজন্য, কোনও বিশেষ ব্যক্তি-মন নয়—সমাজ-মন জাগ্রত হওয়া চাই ; ব্যক্তিগত বিবেকবুদ্ধি অথবা সাৰ্ব্বভৌমিক যুক্তিবাদও নয়-জাতির বিশিষ্ট ভাবপ্রকৃতিকে এ যুগের উপযোগী করিয়া উদ্বোধন করিতে হইবে। গত এক শত বৎসর ধরিয়া এ জাতির প্রজ্ঞা ও প্রতিভা সেই প্রয়োজনসাধনের প্রাণপণ প্রয়াস করিয়াছে ; এ পর্য্যস্ত একের পর অন্যে যাহার নেতৃত্ব করিয়াছেন ও করিতেছেন, তাহাদের যিনি সেই গৃঢ় চৈতন্যের মধ্যে যেটুকু প্রবেশ করিতে