a8 হিমালয়ে নীহার-পাশে । কার। ফেংগ্য তাহাকে সেইখানে দেখা যায় । অথবা যাহাকে যেখানে দেখা যায়, সে সেখানকার উপযুক্ত না হইলে, সেখানে তিষ্ঠিতে পারিত না । প্ৰকৃতির এই আশ্চৰ্য্য নিৰ্বাচনী শক্তির এখানে একটি উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত দেখা যায়। ফারকে শালের স্থানে রোপণ করা মরিয়া যাইবে, শালকে ফারের স্থানে রোপ কন্ন মরিয়া যাইবে । পাশে একটি নীহারবাহু বা বরফের ‘নদী। বর্ষাকালে পদ্মা বা ব্ৰহ্মপুত্র যেরূপ প্ৰশস্ত হয়, সেইরূপ প্রশস্ত একটি নদী মনে করিয়া লাও । নদীর জলের পরিবর্তে বরফপাথরের মত শক্ত বরফ মনে কর, তাহা হইলে এই বরফ নদী বা নীহারবাহু কি কতকটা হৃদয়ঙ্গম হইবে । উহা ছোট বড় বিবিধ প্ৰান্তীয়খণ্ড বক্ষে করির আস্তে আস্তে চলিতেছে-এত অ্যান্তে যে, দেখিলে উহা যে চলিতেছে তাহা বোধ হয় না। ঐ অভ্ৰভেদী গিরিশৃঙ্গে যে তুষার পড়ে তাহা জমাট বাধিয়া বরফ হয়, সেই বরফ রাশি নদীর আকারে নিম্নস্থানে নামিয়া থাকে । নহিলে, বৎসরের পর বৎসর তুষার জমিয়া ঐ শৃঙ্গ যে কত উচ্চ হইত বলা যায় না ; এষৎ ঐ তুষার রাশি কোনই DBDDD DDODB DS SLBBB DtDLS DBK DBS BD DDB আর প্রাণীই বল কোন পদার্থ চুপ করিয়া বসিয়া থাকে না । ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তুষারকণারও জীবন বাৰ্থ নয়। উহার একত্র হইয়া আট, নয়। হাজার ফুট উপর হইতে বরফ নদীর আকারে এখানে নামিয়াছে। বরফনদী আর কিছুদূর নীচে গিয়া একটি বেগবতী স্রোতস্বতীকে জন্ম দিয়াছে।
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ.djvu/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।